কার্তিক লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিয়েছিল মান্না দে-র গান, রবিবার সেই সুর মিলিয়ে গেল সচিন বিষণ্ণতায়।
লড়াইয়ের হাড্ডাহাড্ডি ময়দানে মান্না দে-র গান যেভাবে ‘কমন থিম’ হয়েছিল, বিসর্জনের করুণ সুরও ক্রিকেট মাঠ থেকে সচিন বিদায়ের সঙ্গে সেভাবে এক হয়ে গেল। শহরের বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ‘মিস ইউ সচিন’, ‘ভারত রত্ন সচিন’, ‘ভাল থেকো সচিন’ লেখা কাট আউট নিয়ে রাস্তায় নামলেন। সঙ্গে ছিল চোখ ধাঁধানো আলো আর মালা। এমনই এক উদ্যোক্তা কালী চট্টরাজ বলেন “আলাদা করে সচিনকে আমরা সম্মান জানাতে পারতাম না। দেবকূলে শৌর্যের প্রতীক কার্তিক আর সচিন ব্যাটিং শৌর্যের আদর্শ। তাই আমাদের মতো বেশিরভাগ পুজোকর্তাই ‘ভারত রত্ন’কে নিজেদের মতো ভালবেসেছে।” |
রবিবার রাতে থিম পুজোর উদ্যোক্তারা বাদ দিয়ে কার্তিকের শোভাযাত্রায় ৮৫ জন পুজো উদ্যোক্তা যোগ দেন। এরা সবাই মূলত ‘থাকা’ পুজোর উদ্যোক্তা। বাঁশের খাঁচায় ২৫-৩০টি পুতুল দিয়ে পিরামিডের মতো সাজানো থাকায় নানা পৌরাণির কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়। যদিও অনেকক্ষেত্রেই নানা দেবদেবীর ভিড়ে বাদ পড়ে যান খোদ দেব সেনাপতিই। তবে তিনশো বছরের প্রচলিত থাকার রীতি ভেঙে এ বার গোলাকার থাকা গড়েছিল ঝঙ্কার ক্লাব। স্বভাবতই মানুষের ভিড় ছিল এই নতুন থাকা দেখার জন্য। এ দিন সকাল থেকেই কাটোয়া শহর কার্যত বাজনাদারদের হাতে চলে গিয়েছিল। একেকজন উদ্যোক্তা অন্তত তিন রকমের বাজনা করেছিলেন। নানারকম বাজনা আর শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তায় মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া আলোর সাজ তো ছিলই। |