পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে ‘ওয়াটার করিডরের’ জমি-জট শনিবারেও পুরোপুরি কাটলও না। মহকুমাশাসকের (রঘুনাথপুর) অফিসে এ দিন ওই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে জমি-রক্ষা কমিটি ওই করিডর তৈরির জমিদাতাদের ৪০০ জনকে ঠিকা শ্রমিকের কাজ দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি চায়। ডিভিসি তাতে রাজি হয়নি। তবে বৈঠকে হাজির থাকা স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি এবং পুরুলিয়ার জেলা সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা সৃষ্টিধর মাহাতো বলেন, “আমরা ফের জমি মালিকদের বোঝাব।” জেলা প্রশাসনও জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ফের জমিদাতাদের চেক বিলি করা হবে।
ওই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের মুখে। কিন্তু প্রকল্পে জল আনার জন্য পাইপ পাতার কাজ জমি-রক্ষা কমিটির বাধায় আটকে গিয়েছে। সভাধিপতির আশ্বাসে বৃহস্পতিবার ওই কাজ শুরু হলেও কমিটি ফের বাধা দেয়।
সেই সমস্যার মীমাংসা করতেই এ দিন স্থানীয় বিধায়ক, মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর) সুরেন্দ্রকুমার মীনা, ডিভিসি-র প্রকল্পের মুখ্য বাস্তুকার দেবাশিস মিত্র ও জমিরক্ষা কমিটির নেতৃত্বকে নিয়ে সভাধিপতি বৈঠকে বসেন। কমিটির তরফে সুধীর মণ্ডল, প্রবোধ ভাণ্ডারীরা দাবি করেন, “ওয়াটার করিডরের জন্য ৪০০ জমিদাতাকে ঠিকা শ্রমিক হিসেবে নিয়োগের নিশ্চয়তা দিতে ডিভিসি-র কাছে লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়েছি। কিন্তু ডিভিসি সে দাবি মানছে না।” প্রকল্পের মুখ্য বাস্তুকার দেবাশিস মিত্র বলেন, “আমাদের মূল প্রকল্প ২,৫০০ একরের। তার মধ্যে ওয়াটার করিডরের জন্য জমি কমবেশি ৫০ একর। গোটা প্রকল্পের জমিদাতাদের মধ্যে বড়জোর ১,৫০০ জনকে ঠিকাশ্রমিক হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। শুধু ওয়াটার করিডরের জমিদাতাদের মধ্যে অত জনকে প্রকল্পে কাজ দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। এ বাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেওয়া যায় না।” |
রান্নার গ্যাস না মেলায় অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁইথিয়া |
প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল রান্নার গ্যাস। শনিবার তারই প্রতিবাদে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় দীর্ঘ ক্ষণ সাঁইথিয়া-সিউড়ি সড়ক অবরোধ করলেন কয়েকশো গ্রাহক। পুলিশ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। অবরোধকারীদের অভিযোগ, “গ্যাস সরবরাহ অফিস থেকে কুপন সংগ্রহ করার নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। ওই কুপন সংগ্রহ করে গ্যাস গোদামের কাছে ভোররাত থেকে লাইন দিতে হচ্ছে। অবশ্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গ্যাস মিলছে না। প্রায় দিনই দীর্ঘ ক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পরে জানানো হয়, গ্যাসের গাড়ি আসেনি!” রান্নার গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটার দেবাসিশ সাহা বলেন, “জোগান না থাকায় একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কোম্পানিকে একাধিক বার জানিয়েছি। অসুস্থতার কারণে আমি বাইরে আছি। ঠিক কী ঘটেছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
|