|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
শতবর্ষেও অধরা সমগ্রতা |
বইপোকা |
শতবর্ষ আসিল কমলকুমার মজুমদারের। এক্ষণে তাঁহাকে, তাঁহার রচনা লইয়া গ্রন্থের উদ্যোগ হইবে। ভরসার কথা, সেই উদ্যোগ হিড়িকে পরিণত হইবে না। কারণ, বাজারে কমলকুমারের ‘বিক্রি’ নাই। শিক্ষিত পাঠকের একটি বড় অংশের নিকট কমলকুমার এক আতঙ্কবিশেষ। তাঁহার কোনও গ্রন্থ সম্পর্কে অতি বড় দীক্ষিত পাঠকও ‘পড়িয়া ফেলিলাম’ বলিবার সাহস করিবেন না, বলিতে হইবে ‘পড়িয়া উঠিলাম’। পাঠক্রিয়া যথেষ্ট আয়াসসাধ্য সেই কথাটি পাঠকের ঝুঁটি নাড়াইয়া বুঝাইয়া দিয়াছিলেন কমলকুমার, সচেতন ভাবেই। কিন্তু সেই অঙ্গুলিমেয় আগ্রহী পাঠককুলের সম্মুখেও কি কমলকুমার যথাযথ প্রকারে উপস্থিত? বইপাড়া বলিতেছে, না। কমলকুমারের উপন্যাসসমগ্র (আনন্দ পাবলিশার্স) আছে, গল্পসমগ্র আছে, অগ্রন্থিত রচনার কয়েকটি সংকলন আছে। তবু সে সবে সমগ্র কমলকুমারকে পাওয়া যাইবে না। কারণ খুব গুছাইয়া নিজ রচনা সম্পর্কে তথ্যাদি রাখিয়া যাওয়া ইত্যাদি তাঁহার স্বভাববিরুদ্ধ ছিল। যেমন, আনন্দ-র উপন্যাসসমগ্রে ‘শ্যামনৌকা’ উপন্যাসটি অসম্পূর্ণ। তাহার একটি নূতন অংশ প্রকাশিত হইয়াছিল ‘গল্পকবিতা’ পত্রিকার পূজাসংখ্যা ১৯৭১-এ। তাহা পুনঃপ্রকাশিত হইবে ‘প্রতিবিম্ব’ পত্রিকার কমলকুমার মজুমদার শতবর্ষ স্মরণ সংখ্যায়। আশা করা যায় উপন্যাসসমগ্রের পরবর্তী সংস্করণে ‘শ্যামনৌকা’র নূতন অংশও স্থান পাইবে। আসলে, কমলকুমারের ন্যায় লেখকের সমগ্র নিয়মিত সংস্কৃত হওয়া অথবা দীর্ঘ গবেষণার পরে প্রকাশ হওয়া উচিত। প্রকাশকেরা এ বিষয়ে একজোট হইয়া কাজ করিলে বাংলা সাহিত্যেরই উন্নতি। |
|
|
|
|
|