নামেই স্টেশন রোড! বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বহরমপুর কোর্ট স্টেশন হয়ে চুঁয়াপুর রেলগেট পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা। ওই রাস্তার বহরমপুর বাসস্ট্যান্ডের দিকের অংশটি বর্তমানে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে আর চুঁয়াপুর রেলগেটের দিকের অংশটি পড়ে বর্তমান ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। ওই রাস্তায় ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়া বহরমপুরবাসীর রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ, যানজটের সমস্যা মেটাতে বহরমপুর পুরসভা সেভাবে উদ্যোগীও হয়নি। এদিকে গত কয়েক বছরে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনের যেমন গুরুত্ব বেড়েছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রেলের যাত্রী সংখ্যাও। পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের লালগোলা-শিয়ালদহ শাখায় বর্তমানে প্রতি দিন প্রায় ১৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। বহরমপুর কোর্ট স্টেশনের কাউন্টার থেকে প্রায় ৮ হাজার টিকিট প্রতি দিন বিক্রি হয়ে থাকে। মাসে ৫০-৫২ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। |
বহরমপুর পুর নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের নির্বাহী সভাপতি মহম্মদ আলি বলেন, “ওই স্টেশন রোডের দু’প্রান্তেই অবৈধ দোকান ঘর গড়ে উঠেছে। ওই দোকান ঘর সরিয়ে ফেলে তাদের পুনর্বাসন দিতে পারত পুরসভা। কিন্তু তেমনটা করা হয়নি। একই ভাবে ওই রাস্তার পাশেই রয়েছে এফসিআইয়ের গুদাম। প্রতি দিন বস্তা ওঠানো-নামানোর জন্য রাস্তার উপরেই সারি দিয়ে লরি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত যানজট তৈরি হয়।” তাঁর অভিযোগ, “বিরোধী শূন্য বহরমপুর পুরবোর্ডের কাজে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। নাগরিক স্বার্থে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তারা কোনও কাজ করেনি। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নাগরিকদের। ওই স্টেশন রোড এলাকার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে অনেক আগেই সমাধানসূত্র বের করা যেত। কিন্তু সদিচ্ছা বা আন্তরিকতার অভাবে সেই কাজ পড়ে থেকেছে দিনের পর দিন। আর যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।”
স্টেশন রোডের যানজটের বিষয়টি অবশ্য মানছেন বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য। তিনি বলেন, “এর আগে মৎস্য দফতরের জায়গায় রিকশা স্ট্যান্ড গড়ে তোলার কথা হয়েছিল। ওই রিকশা স্ট্যান্ড নির্মিত হলে স্টেশন রোডের যানজট সমস্যা অনেকটাই মিটে যেত। কিন্তু মৎস্য দফতর সেই সময় আমাদের আবেদন মানেনি।”
মৎস্য দফতরের মুর্শিদাবাদের সহ-অধিকর্তা মলয়কুমার সাহু বলেন, “মৎস্য দফতরের জায়গা দখল করে থাকা দোকান উচ্ছেদের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রত্নাকর রাও বলেন, “নাগরিক স্বার্থেই ওই এলাকার যানজট সমস্যা মেটানো প্রয়োজন।” |