|
|
|
|
নবান্নে খোলা হল ব্যানার, কড়া বার্তা প্রশাসনের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বিবিধ সরকারি কর্মী সংগঠনের পোস্টার-ফেস্টুনে ঢাকা পড়েছিল মহাকরণ। কিন্তু রাজ্যের নয়া সচিবালয় নবান্ন-এ তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করতে চায় না সরকার। এমনকী, ওই ভবনের আশপাশেও দৃশ্যদূষণ রুখতে প্রশাসন যে কঠোর পদক্ষেপ করবে, তার ইঙ্গিত মিলল বৃহস্পতিবার। বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নের পশ্চিম দিকের মূল ফটকের কাছে সিপিএম প্রভাবিত রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির ঝোলানো একটি ব্যানার পুলিশ খুলে দিয়েছে এ দিন।
প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মিছিল, জনসভার কর্মসূচি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরের রিক্রিয়েশন ক্লাবের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পোস্টারে ছয়লাপ থাকত মহাকরণ। ঢোকার সবগুলো সিঁড়ির মুখে পূর্ত দফতর পোস্টার সাঁটানোর পৃথক বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ সংগঠনই তার তোয়াক্কা করেনি। কিন্তু নবান্নে যাতে কর্মী সংগঠনগুলি সেই পথে না হাঁটে, কো-অর্ডিনেশনের ব্যানার খুলে দিয়ে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছে প্রশাসন। পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, “নতুন সচিবালয় ভবনের ভিতরে ও বাইরের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে। এখানে পোস্টার, ব্যানার লাগানো বরদাস্ত করা হবে না।”
পুলিশ জানাচ্ছে, নবান্নের পশ্চিম দিকের মূল ফটকের কাছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির একটি ব্যানার ঝুলতে দেখা যায় বুধবার রাত থেকে। এ দিন সকাল খোঁজ পড়ে, কে বা কারা ওই ব্যানার লাগিয়েছে? নবান্নে ওই সংগঠনের নেতা কে কে আছেন, তারও খোঁজ শুরু হয়। শেষে নবান্নের নজরদারিতে বাধা সৃষ্টির কারণ দেখিয়ে ব্যানারটি খুলে দেয় পুলিশ।
বেলা ১২টা নাগাদ কো-অর্ডিনেশন কমিটির কিছু নেতা পুলিশকর্তাদের কাছে গিয়ে জানতে চান, ব্যানার খোলার সরকারি নির্দেশ পুলিশের কাছে আছে কি না, এবং থাকলে তা কার নির্দেশ। পুলিশকর্তারা মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন নেতাদের। কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, “আগামী সপ্তাহে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করব।”
কো-অর্ডিনেশন কমিটির বক্তব্য, ৩০ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর তাদের সংগঠনের মহাকরণ অঞ্চল কমিটির সম্মেলনের কথা জানাতেই বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নের মূল ফটকের কাছে ওই ব্যানার লাগানো হয়। সংগঠনের একাধিক নেতার অভিযোগ, পুলিশ তা খোলার আগে তাঁদের কিছু জানায়নি। আইএনটিইউসি অনুমোদিত কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের যুগ্ম সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “মহাকরণে নানা সরকারি নীতির প্রতিবাদে যেটুকু প্রতিরোধ গড়ে তোলার সুযোগ ছিল, নবান্নে তা-ও নেই।” তৃণমূল প্রভাবিত ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের নেতা জিতেন ঘোষের অভিযোগ, “কর্মী সংগঠনের ব্যানার খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি। তা আমলাদের একাংশের বাড়াবাড়ি।”
অনেকেরই প্রশ্ন, তা হলে কর্মী সংগঠনগুলি কী ভাবে নিজেদের দাবি জানাবে? রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন: “সার্ভিস রুল অনুযায়ী ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পোস্টার-ব্যানার লাগানো তো দূরের কথা, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন না সরকারি কর্মীরা।” শ্রমমন্ত্রীর পরামর্শ, নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসুন সংগঠনের নেতারা। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যারই সমাধান সম্ভব।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা |
ট্রাকের তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার, এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেটের কাছে। মৃতা রিম্পা পাল (৩২) মহাজাতি নগরের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, স্কুটারে রিম্পাদেবীকে স্কুলে পৌঁছতে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী গৌতম পাল। আড়াই নম্বর গেটের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় স্কুটারটি। দু’জনে ছিটকে পড়লে পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক পিষে দেয় রিম্পাদেবীকে। আহত হন গৌতমবাবুও। পুলিশ জানায়, রিম্পাদেবীর আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ওই জায়গাতেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উড়ালপুলটি যশোহর রোডে মিশেছে। বড় বড় ট্রাক উড়ালপুল দিয়ে নামায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। |
|
|
|
|
|