একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের দেওয়াল ভেঙে ঢুকে থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাতে কালনা ২ ব্লকের আনুখাল পঞ্চায়েতের নেপাকুলি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে সাফাই কর্মীর নজরে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ ও ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবারও ব্যাঙ্ক সাফাই করতে আসেন কর্মী জলেশ্বর মল্লিক। ব্যাঙ্কের মূল দরজার তালা খুলে ভেতরে ঢুকতেই তাঁর নজরে আসে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে রয়েছে। দ্বিতল ভবনের যেখানে ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত বেশিরভাগ কাজ হয় সেখানে গিয়ে জলেশ্বরবাবু দেখেন টাকা রাখার ভল্ট ভাঙা। সঙ্গেসঙ্গে ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মীদের খবর দেন তিনি। দেখা যায়, তিনতলার চিলেকোঠার দেওয়াল ভাঙা। ছাদের সিঁড়ে দিয়ে নেমে দোতলায় ব্যাঙ্কে ঢোকার দেওয়ালটিও ভাঙা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ভল্ট ভেঙে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতিরা। ভেঙেছে বেশ কয়েকটি লোহার গেটের তালাও। তবে সোনা রাখার ভল্টটি অক্ষত রয়েছে।
|
সকাল ১০টা নাগাদ ব্যাঙ্ক ডাকাতির খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায় আশপাশের বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে আসেন কালনা থানার ওসি অমিত মিত্র, সিআই রাকেশ মিশ্র ও কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনা করে নানা সরঞ্জাম নিয়েই ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল ওই দলটি। ভিতরে ঢুকে ছ’টি সিসিটিভির মধ্যে দু’টি অকেজো করে দেয় তারা। তবে বাকি ক্যামেরাগুলি ঠিক থাকায় ফুটেজ দেখে পুলিশের কাছে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মেলা তথ্যগুলিকে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছি আমরা।” পুলিশের অনুমান, দরজা ভাঙার আওয়াজে আশপাশের বাসিন্দারা সচেতন হয়ে যেতে পারেন সেই ভয়ে দুষ্কৃতীরা দেওয়াল ভাঙে।
তবে রাতে ব্যাঙ্কে কেন কোনও প্রহরী ছিলেন না, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি ম্যানেজার বিমলকুমার সিনাই। তিনি জানান, “পরিস্থিতি সামলে গ্রাহকদের দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। বছর দেড়েক আগেও কালনার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার এখনও কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। |