প্রায়ই রাস্তা খারাপের দাবিতে হয় অবরোধ, ফের প্রশাসনের আশ্বাসে তা উঠে যায়। কিন্তু রাস্তার খানাখন্দ আর সারাই হয় না।
প্রায়ই রাস্তা সারানোর দাবিতে বসিরহাটের টাকি ও ইটিন্ডা দু’টি রোড অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। তার ফলে মাঝেমধ্যে তাপ্পিও পড়লেও তাতে কাজ হয় না। ভারী গাড়ির চলাচেল ফের আগের অবস্থা ফিরে যায় রাস্তা। বেহাল রাস্তার ধুলোয় ঢেকে যায় রাস্তার পাশে দোকানঘর, বাড়ি। রাস্তায় হাঁটতে হয় মুখে কাপড় ঢাকা দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অবস্থা বসিরহাটের ইটিন্ডা রোডের। বুধবার ফের রাস্তা মেরামতির দাবিতে টাউনহলের কাছে বেলতলায় রাস্তায় বেঞ্চ পেতে আড়াই ঘন্টা অবরোধ করেন বাসিন্দারা। শেষপর্যন্ত পুলিশ ও পূর্ত আধিকারিক গিয়ে দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। |
বসিরহাটের টাকি ও ইটিন্ডা দুটি রোডের অবস্থাই অত্যন্ত করুণ। সংগ্রামপুর থেকে কাটিয়াহাট হয়ে স্বরূপনগর রাস্তাটির অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ত্রিমোহনী থেকে বেলতলা পর্যন্ত ইটিন্ডা রোডের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ধুলোর জন্য দিনেও গাড়িতে আলো জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। বসিরহাটের ঘোজাডাঙা দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্যের কারণে ভারী লরি চলাচল করায় রাস্তা আরও বেহাল হয়ে পড়েছে।
বসিরহাট পূর্ত দফতরের সহকারি বাস্তুকার তপন নস্কর বলেন, “বসিরহাট কলেজ থেকে বেলতলা পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু করতে ১৫ ডিসেম্বর হয়ে যাবে। কলেজ থেকে খোলাপোতার দিকে রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হবে।” বসিরহাটের পুরপ্রধান কৃষ্ণা মজুমদারের কথায়, “কয়েকদিন আগেই রাস্তা মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট সব দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। চেষ্টা হচ্ছে যাতে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা মেরামত করা যায়।” |