টুকরো খবর
পথ অবরোধ বিজেপির
উন্নয়নে রাজনীতি করছে তৃণমূল। শাসক দলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে বুধবার সকালে ঝাড়গ্রামের গড়শালবনিতে লোধাশুলি-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে অবরোধ করে বিজেপি। অবরোধের ফলে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত মাহাতোর অভিযোগ, কয়েক মাস আগে নিম্নচাপের অতিবৃষ্টিতে শিরষি গ্রামের লাগোয়া ভাঙাবাঁধ দিঘির পাড়টি ভেঙে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড়শালবনি থেকে শিরষি যাওয়ার গ্রামীণ রাস্তার ধারে ওই দিঘিটি রয়েছে। রাস্তার একাংশ-সহ পাড়টি ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম ব্লকের শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সাবিত্রী মুদির কাছে বহুবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও পাড়টি সংস্কার করা হচ্ছে না। সঞ্জিতবাবু নিজে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের একমাত্র বিরোধী সদস্য। ওই রাস্তাটি তাঁরই গ্রাম-সংসদ এলাকার অর্ন্তভুক্ত। বিরোধী সদস্যের এলাকা বলেই পাড়টি সংস্কারে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে সঞ্জিতবাবুর অভিযোগ। সঞ্জিতবাবু জানান, এ দিন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই রাজ্য সড়ক অরবোধ করা হয়। শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সাবিত্রীদেবীর দাবি, “আগামী এক-দু’মাসের মধ্যেই পাড়টি সংস্কার করা হবে। সঞ্জিতবাবু মিথ্যা অভিযোগ করছেন।” এ দিন দুপুরে মহকুমাশাসক এস অরুণ প্রসাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সঞ্জিতবাবু। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক।

২২ তারিখের পর
আইনের মারপ্যাঁচে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করাটাই পেশা দু’জনের। কিন্তু আপাতত সে সব শিকেয় তুলে মক্কেলদের দেখলেই দু’জনেই বলছেন, “বাইশ তারিখের পর আসুন, কাজ হয়ে যাবে।” মক্কেলের তাড়া থাকলে সহকারীকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। মক্কেলদের কেউ কেউ জানতে চাইছেন, “উকিলবাবুদের কী শরীরটা ভাল নাই?” প্রশান্ত রায়ের জবাব, “২২ তারিখ বড় পরীক্ষা আছে তো, তাই কাজে মন বসছে না।” ঝাড়গ্রাম পুরভোটের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী প্রশান্তবাবু পেশায় বরিষ্ঠ আইনজীবী। ওই ওয়ার্ডেরই বিদায়ী কাউন্সিলর প্রশান্তবাবু আবার শহর তৃণমূলের সভাপতিও। আবার ঝাড়গ্রাম আদালতের তরুণ আইনজীবী তথা তৃণমূল কর্মী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় দলীয় প্রতীক না পেয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ‘জোড়াপাতা’ প্রতীকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। অনিন্দ্যবাবুর বিপক্ষে রয়েছেন সিপিএমের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার আর তৃণমূলের ঘনশ্যাম সিংহ। ফলে রীতিমতো টেনশনে আছেন তিনি। ভোটের ফল নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন প্রশান্তবাবু। চিন্তা একটাই, কতগুলো ওয়ার্ড দখলে আসবে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভোটের ময়দানে তো আর আইনের মারপ্যাঁচ কাজ দেবে না।

প্রচারে ঝড় তৃণমূলের
‘আমরা এলেই উন্নয়ন! বামেদের জেতালে অনুন্নয়ন!’ পুরভোটের সপ্তাহ খানেক আগে এভাবেই বামেদের বিরুদ্ধে প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। বুধবার বিকেল থেকে ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এই ‘আবেদন’ করছেন তৃণমূল কর্মীরা। বুধবার ঝাড়গ্রাম শহরে দলীয় এক বৈঠকে তৃণমূল কর্মিদের আরও ‘সক্রিয়’ হতে বলেছেন দীনেনবাবু। এ দিন দুপুরে শহরের রূপছায়া মোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রার্থী ও কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন দীনেনবাবু। ঝাড়গ্রাম পুরভোটে বামেদের কোণঠাসা করতে এই কৌশলি প্রচার ভাল কাজ দেবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বৈঠকে ছিলেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক দুর্গেশ মল্লদেব, তৃণমূলের শহর সভাপতি প্রশান্ত রায়, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো প্রমুখ। দীনেনবাবু জানান, আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী অরণ্যশহরে তিনটি প্রচারসভা করবেন। শনিবার ঝাড়গ্রামে প্রচারসভা করবেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। আগামী সপ্তাহে দলের আরও কয়েকজন শীর্ষনেতা ও মন্ত্রী ঝাড়গ্রামে দলীয় প্রচারে আসবেন।

সাথে নেই, পাঁচে আছি
পুরভোটে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। আজ, বৃহস্পতিবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ঝাড়গ্রাম শহরে প্রচারসভা করবেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত মাহাতো বলেন, “আমরা মানুষকে একটাই কথা বলছি, কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার, রাজ্যে তৃণমূল, আর টানা তিন দশক ধরে ঝাড়গ্রামে বামফ্রন্টের পুরবোর্ড। ঘোষণা আর বাস্তবের মধ্যে ফারাক কতটা তা প্রতি মুহূর্তে টের পাচ্ছেন। ভেবেচিন্তে আপনার ভোটটা দিন।” কিন্তু মাত্র ৫টি আসনে লড়াই করে পুরবোর্ডের ক্ষমতা দখল করা তো অসম্ভব! মুচকি হেসে সঞ্জিতবাবুর জবাব, “আমরা কারও সাথে নেই, কিন্তু পাঁচে তো আছি।

বধূর মৃত্যু, ধৃত স্বামী
এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হলেন স্বামী। মৃতের নাম চুমকি সরকার (২৯)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি চন্দ্রকোনা শহরের গোঁসাই বাজারে। মঙ্গলবার বিকেলে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলম্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে। মৃতার মা করুণা নায়েক বুধবার মেয়ের স্বামী তন্ময় সরকার-সহ শ্বশুরবাড়ির তিন জনের বিরুদ্ধে পুলিশে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এ দিন তন্ময়কে গ্রেফতার করে।

দেবযানীর জেল
সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে বুধবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠালেন ঘাটাল এসিজেএম আদালতের বিচারক রীনা তালুকদার। ঘাটালে এক মামলায় এ দিন তাকে আদালতে তোলা হয়। প্রসঙ্গত, গত সোমবার ঘাটাল আদালতে তাকে হাজির করা হয়েছিল। বিচারক তাঁকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন।

৬৫ বস্তা আলু আটক
ছবি: কৌশিক মিশ্র।
বাস ও পিক আপ ভ্যান থেকে ৬৫ বস্তা আলু আটক করল এগরা থানার পুলিশ। বুধবার এগরা শহরের দিঘা মোড় থেকে ওই আলুর বস্তাগুলি আটক হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দিঘা মোড়ে ওড়িশাগামী একটি বাস থেকে ১৫ বস্তা ও একটি পিক আপ ভ্যান থেকে ৫০ বস্তা আলু আটক করা হয়। পিক আপ ভ্যানের চালক ও কর্মী পলাতক। পুলিশ মনে করছে, ওড়িশায় আলুর দাম আকাশছোঁয়া। তাই ঘুরপথে ওই আলুর বস্তাগুলি ওড়িশায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল।

সিবিআই সেজে প্রতারণা
পরনে স্যুট-বুট-টাই। হাতে দামি মোবাইল, ফাইল। সাতসকালে ঘরে ঢুকে ধোপদুরস্ত পোশাকের যুবক বলছে, ‘‘সিবিআই থেকে আসছি। অনেক দুর্নীতি করেছেন। সেই সূত্রে প্রচুর আয় করেছেন।’’ ঘাবড়ে যান পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বিমান পান্ডা। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার আড়ংকিয়ারানা গ্রামের ঘটনা। নিজেকে সিবিআই অফিসার বলে পরিচয় দেওয়া যুবকের সঙ্গে ছিল ‘সিবিআইয়ের পরিচয়পত্র’ এবং আগ্নেয়াস্ত্র। অভিযোগ, বিমানবাবুকে সে হুমকি দেয়, “৬৭ লক্ষ টাকা না দিলে আপনার অবস্থা খারাপ হবে।’’ নিজের সম্পর্কে অভিযোগ না মানলেও যুবককে সিবিআই অফিসার বলে প্রায় মেনেই নিয়েছিলেন বিমানবাবু। পরে সন্দেহ হওয়ায় কৌশলে বছর তিরিশের ওই যুবককে ধরিয়ে দেন তিনি। এসপি সুকেশকুমার জৈন বলেন, “তার কাছ থেকে সিবিআই-এর ভুয়ো পরিচয়পত্র পাইপগান, ৪ রাউন্ড গুলি, মিলেছে।” তবে দেবাশিস উচ্চশিক্ষিত। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার যুবকটি বেঙ্গালুরুতে পড়ে এক সংস্থায় কাজ করতেন। পরে কাজ ছেড়ে পিংলার বড়িশা গ্রামের বাড়িতে ফেরেন।

সুকুরের জামিন
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় জামিন পেলেন গড়বেতার সিপিএম নেতা সুকুর আলি। বুধবার বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস ও বিচারপতি সুবল বৈদ্যের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। ৭ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার অভিযুক্ত হিসেবেই তমলুক কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন সুকুর। তবে জামিন পেলেও আপাতত জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না সুকুর। কারণ, গোয়ালতোড় থানার কঙ্কাল-মামলায় তিনি এখনও জামিন পাননি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.