বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিরোধীদের ডাকা দফায় দফায় বন্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করল ভারত বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের ঘোজাডাঙা, মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য ব্যহত হলেও দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর পেট্রাপোল দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে এখানেও বাণিজ্য ব্যহত হচ্ছে। বিশেষ করে পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধের মুখে। ফলে কমতে শুরু করেছে রাজস্বও। শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে ২৬৭টি পণ্যভর্তি ট্রাক। বুধবার সংখ্যাটা সামান্য বেড়ে হয় ৩৩৫টি। স্বাভাবিক সময়ে অন্তত ৪০০টি ট্রাক যাতায়াত করে। তবে পণ্য আমদানিতেই রাজস্ব বাড়ে কেন্দ্রের। মঙ্গলবার ও বুধবার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫টি করে ট্রাক পেট্রাপোলে ঢুকেছে। যেখানে স্বাভাবিক দিনে সংখ্যাটা থাকে ১২০-১৫০টি। পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের ডেপুটি কমিশনার শুভেন দাশগুপ্ত বলেন, “এখানে পণ্য আমদানি করে রোজ ৮০ লক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা কেন্দ্রের রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। তবে এখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
|
হিমালয়ের পাদদেশে ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকার প্রসার ও প্রচারে বেসরকারি উদ্যোগে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স ইকো ফেস্ট। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাদারিহাটে সকাল ১১টায় ধুমধাম করে উৎসব শুরু হচ্ছে। মূলত মাদারিহাটা, টোটোপাড়া, চিলাপাতা, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পকে ঘিরে নদী, জঙ্গল, পাহাড় ছাড়াও সংস্কৃতি এবং এলাকাগুলির ঐতিহ্যকে নতুনভাবে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার জন্য এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে উদ্যোক্তাদের তরফে রাজ বসু, সম্রাট সান্যালেরা জানিয়েছেন। উদ্যোক্তারা জানান, এদিন সকালে মাদারিহাটে আদিবাসী যাত্রা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। সেই সঙ্গে শুরু হবে একটি পর্যটন মেলাও। এ ছাড়া, দু’দিন ধরে সেখানে স্থানীয় হস্তশিল্প মেলা, মুজনাই চা বাগানে চা পর্যটনের উদ্বোধন এবং টোটোদের নিয়ে একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীও হবে। থাকবে জিপ সাফারি, কমলালেবু বাগানের ঘোরা, সাইকেল ভ্রমণ এবং ফুড ফেস্টিভ্যালের ব্যবস্থাও। ১৬ এবং ১৭ নভেম্বর চিলাপাতায় একই ধরণের নানা অনুষ্ঠান হবে। বার্ড ওয়াচিং, বাটারফ্লাই ওয়াচিং ছাড়াও স্থানীয়দের নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা হবে। ১৮ এবং ১৯ নভেম্বর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ট্রেকিং, মহিলাদের ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। কবি সম্মেলন, চা তৈরির দেখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বহু পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও উৎসবে যোগ দিচ্ছেন বলে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন।
|
২০১৩-’১৪ অর্থবর্ষের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে চলতি খাতে ঘাটতির পূর্বাভাস ৫৬০০ কোটি ডলারে (৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা) বেঁধে দিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি-র ৩ শতাংশেরও কম। এই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট বা বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যয়ের ঘাটতির আগাম হিসাব গত বছরের তুলনায় ৩২০০ কোটি ডলার কম বলে বুধবার জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন। এই পূর্বাভাস দিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ডলারের তুলনায় ভারতীয় টাকার আরও বেশি হারে পড়ার আপাতত তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য কারণ নেই। তাই টাকার এত বেশি ওঠা-পড়া ঠেকাতে প্রয়োজনে বাড়তি ব্যবস্থাও নেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রাজনের এ দিনের বক্তব্যের পর কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাকা। টানা পাঁচ দিন পড়ার পর বুধবার ডলারে টাকা বেড়েছে ৪১ পয়সা। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৩.৩০ টাকা।
|
মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ৯০% কমাল আইডিয়া সেলুলার। সংস্থা জানিয়েছে, টু-জি সংযোগে প্রতি ১০ কেবি তথ্য আদানপ্রদান করতে খরচ হবে ২ পয়সা। এত দিন যা ছিল ১ কেবি-তে ২ পয়সা। এ ছাড়া, থ্রি-জি সংযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার খরচও ৩০% কমানো হয়েছে। ১৫ নভেম্বর থেকে ছ’মাসের জন্য এই সুযোগ মিলবে।
|
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সিইএসসি-র সাদার্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ছ’মাসে ১৩৫ মেগাওয়াটের ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৯৯.২৩% উৎপাদন ক্ষমতায় চলেছে। সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি এই স্বীকৃতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে সিইএসসি।
|
সুইডিশ পোশাক হেন্স অ্যান্ড মরিট্জ এ বি (এইচ অ্যান্ড এম) এবং সুইস সংস্থা হোলসিমের প্রস্তাবে সায় দিল বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদ। এর ফলে ভারতে শাখা সংস্থার মাধ্যমে ৭২০ কোটি টাকা লগ্নি করে নিজেদের বিপণি খুলতে পারবে এইচ অ্যান্ড এম। অন্য দিকে, অম্বুজা সিমেন্টেস-এর সঙ্গে দেশীয় শাখা সংস্থা মেশাতে পারবে হোলসিম। তবে বুধবারের বৈঠকে ভোডাফোন ইন্ডিয়ার পুরো অংশীদারির কেনার জন্য ব্রিটিশ ভোডাফোন গোষ্ঠীর প্রস্তাবটি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
|
চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল-অক্টোবর মাসে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে পণ্য পরিবহণের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৭৫% বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭.৭২ কোটি টন। যা রেল বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬.৩১% বেশি। |