জেলার এক বাজারে লুঠপাট হয় সোমবার রাতে। ইংরেজবাজারের সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার পর পর লুঠ হল মালদহের মানিকচকের ধরমপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার এবং রতুয়ার বালুপুর হাটে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শাকসব্জির পাশাপাশি, মাছ-মাংসের দোকানেও লুঠ হয়েছে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্যই এ দিন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সরব হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। অভিযোগ মানেননি রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ) শশীকান্ত পূজারী। বলেছেন, “হামলাকারীদের চিহ্নিত করে যথাযোগ্য আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি।”
মানিকচকের বিধায়ক তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেছেন, “কেন এমন ঘটল তা দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে।” মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার জানান, সব বাজারেই বাড়তি নিরাপত্তা ও নজরদারি রাখতে পুলিশকে বলা হয়েছে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ইংরেজবাজারের শোভানর বাজারে সোমবার আচমকা হামলা চালায় স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী। অভিযোগ, শাকসব্জি লুঠ করে পালায় তারা। এ দিন সকালে গণ্ডগোল বাধে মানিকচকের ধরমপুরের বাজারেও। ধরমপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক ব্রজেন লালার অভিযোগ, “কয়েকশো লোক লুঠপাট করতে শুরু করে। পেঁয়াজ, ফুলকপি, বেগুনযে যা পেরেছে নিয়ে যায়। মাছ-মাংসের দোকানও রেহাই পায়নি।”
এ দিনই দুপুরে সামসি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির বালুপুর হাটে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে বচসার পরে কিছু লোক লুঠপাট শুরু করে বলে অভিযোগ। বণিকসভা ‘মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স’-এর সম্পাদক উজ্জল সাহার বক্তব্য, “এমন হলে সামান্য পুঁজির ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”
সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র এবং কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “বেশি দামের ছুতো তুলে হাট-বাজারে এ ধরনের লুঠপাট কোনও মতেই বরদাস্ত করা যায় না। প্রথম লুঠপাটের ঘটনার পরে পুলিশ সে ভাবে সক্রিয় হলে কেউ এমন করার আগে দু’বার ভাবত।”
জেলার পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, পুলিশ সক্রিয় ভাবে সমস্যার মোকাবিলায় নেমেছে। তিনি বলেন, “রতুয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক জনকে ধরা হয়েছে। ধরমপুর থেকে আমরা অভিযোগ পাইনি। ওখানে পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয় কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, আজ, বুধবার থেকে জেলার বিভিন্ন হাট এবং বাজারে নজরদারি করবে পুলিশ। |