জরুরি বিভাগ খোলার উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি (বিআইএন)-তে জরুরি বিভাগ চালু করতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যকর্তাদের বক্তব্য, বিআইএন তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই চলুক। কিন্তু জরুরি বিভাগ না থাকলে রোগীদের যে ভোগান্তি হয়, সেটাও বন্ধ হওয়া দরকার। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সচিব মলয় দে, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, এসএসকেএমের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র, বিআইএন-এর অধিকর্তা অসিত সেনাপতি প্রমুখ এক বৈঠকে মিলিত হয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। তবে বিআইএন-এর স্থানাভাবের বিষয়টি সকলেই স্বীকার করে নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে তার ঠিক পাশেই ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির দু’টি তলা বিআইএন-কে ছেড়ে দিয়ে সেখানে জরুরি বিভাগ চালু করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। রাজ্যে সরকারি পরিকাঠামোয় স্নায়ু চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হলেও এখনও পর্যন্ত বিআইএন-এ কোনও জরুরি বিভাগ নেই। সেখানে রোগী ভর্তি হন শুধু আউটডোরের মাধ্যমে। নিউরো-সার্জারির সঙ্কটজনক রোগীরা বিআইএন-এর পাশেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন। এতে বহু ক্ষেত্রেই সমন্বয়ের সমস্যা হয়। বিআইএন-এর আইটিইউ-এ এসএসকেএমের রোগীদের ভর্তি করা নিয়েও নানা টালবাহানার অভিযোগ ওঠে। জরুরি বিভাগ চালু হলে এই সব সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের আশা।
|
হাসপাতাল পরিদর্শন শুরু খড়্গপুর দিয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনের কাজ শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। মঙ্গলবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে যান জেলাস্তরের পরিদর্শক দল। দলে ছিলেন দুই উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারঙ্গি এবং নিমাই মণ্ডল-সহ অন্যরা। গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের এনআরএইচএম প্রকল্পে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় নানা কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র, এসএনসিইউ, উচ্চতর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো তৈরি ইত্যাদি। কিন্তু অনেক জায়গাতেই ওই প্রকল্পের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর হাল ফেরাতে, সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ব্লক পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। এর জন্য জেলাস্তরে একটি পরিদর্শক দলও গঠিত হয়। সোমবার মেদিনীপুরে বিএমওএইচদের নিয়ে এক বৈঠক হয়। বৈঠকেও প্রকল্পগুলোর কাজে গতি আনার নির্দেশ দেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এনআরএইচএম প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থে কী কী কাজ চলছে, কাজের ঠিক কী পরিস্থিতি, কাজ এগোতে কী কী সমস্যা হচ্ছে, এদিন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে এ সব খতিয়ে দেখে পরিদর্শক দল। ছিলেন হাসপাতাল সুপার দেবাশিস পালও। হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিদর্শন চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, এরপর পরিদর্শক দলের রিপোর্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে জমা পড়বে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে গিরীশচন্দ্রবাবু পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।
|
|
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে উদ্বোধন হল সুলভ মূল্যের ওষুধের দোকানের।
মঙ্গলবার এর উদ্বোধন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান নির্মল মাঝি। এই নিয়ে
রাজ্যে ৩৯টি এই ধরনের ওষুধ বিক্রয়কেন্দ্র চালু হল। এ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মণ্টুরাম পাখিরা, মহকুমাশাসক অমিত নাথ এবং হাসপাতালের
সুপার উজ্জ্বলেন্দু বিকাশ মণ্ডল প্রমুখ। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
|
রক্তাল্পতার শিকার পড়ুয়াদের ৫৯ শতাংশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ রক্তাল্পতার শিকার। রাজ্যে যে হিসাবটা ৫৫ শতাংশ। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরে জেলাশাসকের সভাকক্ষে এক প্রশাসনিক সভায় এমন তথ্যই উঠে এল। রাজ্য সরকারের ‘রক্তাল্পতা মুক্ত পশ্চিমবঙ্গ’ কর্মসূচি জেলায় রূপায়ণ করা নিয়ে এই বৈঠকটি হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন ঝরিয়াত, জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাস, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন ছাড়াও জেলার ২৫টি ব্লকের বিএমওএইচ, ৪৫টি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদশর্ক ও বিভিন্ন সরকারি দফতরের আধিকারিকরা। জেলার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও স্কুলছুটদেরও এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মসূচি নেওয়া ছাড়াও সাপ্তাহিক আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট বিনামূল্যে খাওয়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন জানান, মহকুমা ও চক্রস্তরেও এই নিয়ে আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
|
নবীনবরণ অনুষ্ঠান
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের নবীনবরণ হল মঙ্গলবার। এই উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠান হয়। শুরুতে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের বরণ করে নেওয়া হয়। শিক্ষকদেরও সংবর্ধিত করা হয়। পাশাপাশি, এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। নবীনবরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ তমালকান্তি ঘোষ-সহ আরও অনেকে।
|
|
খড়্গপুরে চালু হল ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকান। মঙ্গলবার দুপুরে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি,
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ জারিনা ইয়াসমিন,
মহকুমাশাসক আর বিমলা, হাসপাতাল সুপার দেবাশিস পাল প্রমুখ। এর আগে জেলার
ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে
এই পরিষেবা চালু হয়েছে। আগামী দিনে গড়বেতা ও বেলপাহাড়িতেও এই দোকান
চালু করা হবে বলে জানান জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
|