দু’দশক আগে ধসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য হয়েছিল কৃত্রিম বনসৃজন। কিন্তু বর্তমানে সেখানে মাটি ও গাছ কেটে সাফ করছে কিছু লোক, এমন অভিযোগে মঙ্গলবার রানিগঞ্জ বিএলএলআরও দফতরে এবং আসানসোলে এসডিএলএলআরও কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, মহাবীর কোলিয়ারি এলাকার যাদবপাড়া এলাকার শেষ প্রান্তের বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে ধস ও গ্যাসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কৃত্রিম বনানি তৈরী করেছিল বন দফতর। অভিযোগ, বর্তমানে সংলগ্ন এলাকার ইট ভাঁটা এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজের জন্য ওই কৃত্রিম বনানির মাটি কেটে পাচার করছে মাফিয়ারা।
এ দিন বিক্ষোভ শুরুর আগে মাটি বোঝাই করতে আসা ১০টি ট্রাক্টর আটকে রেখে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগেই পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। তাঁদের অভিযোগ, দিনে মাটি পাচারের পর রাতে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। |
বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই তাঁরা এ দিন ভূমি রাজস্ব দফতরে বিক্ষোভ দেখানোর পর দাবিপত্র অধিকর্তাদের হাতে তুলে দেন। তার প্রতিলিপি রানিগঞ্জ থানার ওসি এবং পুরপ্রধানের হাতেও দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, বন দফতর উদাসীন হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে দু’দশক আগে ইসিএল বন দফতরের একটি জমি কয়লা উত্তোলনের জন্য অধিগ্রহণ করে। তার পরিবর্তে মহাবীর এলাকায় এই জমি বন দফতরকে দেওয়া হয়। সেখানে বন দফতর প্রথমে ফলের চারা তৈরীর পরিকল্পনা নেয়। কিছু দিন পর দেখা যায় ওই এলাকা অবৈধ কয়লা খাদানের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছিল। বন দফতরের এক অধিকর্তা জানান, প্রশাসন কোনও নজর না দেওয়ায় মাটি মাফিয়া আর গাছ চোরদের রমরমা বাড়তে থাকে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার দিব্যেন্দু হালদার জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। রানিগঞ্জের পুরপ্রধান অনুপ মিত্রের আশ্বাস, তিনি বিষয়টি নিয়ে বন দফতর এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। |