অবশেষে লাফ দিয়ে কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছল মঙ্গলযান। এর আগে রবিবার রাতে হোঁচট খেয়েছিল সে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরো জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ মহাকাশযানের ইঞ্জিন চালু করা হয়। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই যানটি পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ১৮ হাজার কিলোমিটারে দূরে পৌঁছে গিয়েছে।
৫ নভেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে লাল গ্রহের দিকে পাড়ি দিয়েছিল ইসরোর মঙ্গলযান। এ দিন ছিল তার রওনা দেওয়ার প্রথম সপ্তাহ পূর্তি। বিজ্ঞানীরা জানান, উন্নত দেশগুলির মতো অতি-শক্তিশালী রকেট না থাকায় মহাকাশযানটিকে এক ধাক্কায় মহাকাশে পাঠানো যায়নি। ধাপে ধাপে দূরত্ব ও গতি বাড়ানো হচ্ছে তার।
তিন বার লাফের পর যানটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৭১ হাজার কিলোমিটার দূরে পৌঁছে গিয়েছিল। রবিবার রাতেই ১ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পৌঁছনোর জন্য চার নম্বর লাফ দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের ফলে লাফ দিলেও কাঙ্খিত দূরত্বে পৌঁছতে পারেনি। ফলে মঙ্গলবার ভোরে দ্বিতীয় বার চেষ্টা করতে হয় ইসরোর ইঞ্জিনিয়ারদের।
ইসরোর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সোমবার রাতে মঙ্গলযান ও পৃথিবীর দূরত্ব ছিল ৭৮ হাজার কিলোমিটার। এ দিনের পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৪২ কিলোমিটার। সূত্রের খবর, এর পর পৃথিবী থেকে যানের দূরত্ব বাড়ানোর কথা ভাবছেন না বিজ্ঞানীরা। আগামী আঠেরো দিন শুধু গতি বাড়ানো হবে তার। ৩০ নভেম্বর নাগাদ সেকেন্ডে ১২ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে তা পৃথিবীর টান ছাড়িয়ে রওনা দেবে মঙ্গলের উদ্দেশে। সব কিছু ঠিক থাকলে ৩০০ দিনে প্রায় ২০ কোটি কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আগামী বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ভারতের এই মহাকাশ-দূত।
|
বিশ্ব বিজ্ঞান দিবস উপলক্ষে রবিবার দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রে ‘প্রকৃতিপাঠ’ বিষয়ক এক শিবির হল। শিবিরে সামুদ্রিক এলাকায় জীব বৈচিত্র্য, পরিবেশ রক্ষায় প্রাণী ও উদ্ভিদের ভূমিকা বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৪টি বিদ্যালয়ের ৭০ জন ছাত্রছাত্রীকে ‘হাতে-কলমে’ অবহিত করানো হয়। বিড়লা শিল্প কারিগরি সংগ্রহশালা, দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে ও কাঁথি মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সহায়তায় শিবিরটি হয়। শিবিরে বিজ্ঞান বিষয়ে আশিস ঘোষ ও সমরকুমার বাগচি বক্তব্য রাখেন। বিজ্ঞান বিষক একটি ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়। অনুষ্ঠানে কাঁথির মহকুমাশাসক সরিৎ ভট্টাচার্য, দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের শিক্ষা আধিকারিক পার্থসারথি সাহা ও প্রকল্প আধিকারিক শুভশঙ্কর ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। |