|
|
|
|
প্রাপ্তমনস্ক |
মায়ের বিয়ে। বেশি বয়সের প্রেম। সমকামিতা।
বদলে যাচ্ছে ভারতীয় বিজ্ঞাপনের জগৎ। লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত। |
মায়ের বিয়ে দেখা এখন ভারতীয় বিজ্ঞাপনের সব থেকে জনপ্রিয় টিজার। ‘ইংলিশ ভিংলিশ’য়ের পরিচালক গৌরী শিন্ডে ‘শূন্য অঙ্ক’র অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা বসুকে নিয়ে তানিশ্ক-এর বিজ্ঞাপন করে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। বিজ্ঞাপনে প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যাচ্ছে মধ্যবয়সি এক শ্যামবর্ণা পাত্রী রূপে। দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে চলেছেন তিনি। সঙ্গে ফুটফুটে এক মেয়ে। যে কিনা আহ্লাদ করে বলে, সাত পাকে বাঁধার সময় সে নিজেও মায়ের সঙ্গে হাঁটবে! পাত্র আপত্তি করেন না। ডেকে নেন খুদেটিকে। আর তার পর ছোট্ট মেয়েটি বলে ওঠে: ‘আজ সে পাপা বুলায়ুঁ?’
শুধু এই বিজ্ঞাপন নয়, অধুনা টিভির পর্দায় বেশ কিছু নতুন স্ক্রিপ্ট নিয়েই বিজ্ঞাপন তৈরি হচ্ছে। কয়েক মাস আগে ফাস্টট্র্যাক ঘড়ির একটি বিজ্ঞাপন ইন্টারনেটে দারুণ হিট। বিজ্ঞাপনটা শুরু হয় একটা নড়বড়ে আলমারির দৃশ্য দিয়ে। আলমারির একটা পাল্লা খুলে যায়। বেরিয়ে আসেন একটি মেয়ে। চমকটা এখানে নয় যে তার একটু পরে আলমারি থেকে বেরিয়ে আসেন আর একটি পুরুষ। বিজ্ঞাপনের পরিচালক ফোটোগ্রাফার ভরত সিক্কা। তিনি সে পথে হাঁটেননি। ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে চলে ‘ডাফ্ট পাঙ্ক’-এর গান: ‘ইট মাইট নট বি দ্য রাইট টাইম, আই মাইট নট বি দ্য রাইট ওয়ান। বাট দেয়ার ইজ সামথিং অ্যাবাউট আস আই ওয়ান্ট টু সে। দেয়ার ইজ সামথিং বিট্যুইন আস এনিওয়ে’। আর তার পর পাল্লা সরিয়ে বেরিয়ে আসেন আরও একটি মেয়ে। ট্যাগলাইনে লেখা হয়: ‘কাম আউট অব দ্য ক্লোজেট...মুভ অন’।
ভার্জিন মোবাইলের বিজ্ঞাপনে তো একটি মেয়ে তাঁর বাবা-মাকে সাফ জানিয়ে দেন যে ছেলেদের সম্পর্কে তাঁর কোনও উৎসাহ নেই। ফাস্টট্র্যাক ম্যাচিওর ইজ ইন-য়ের অন্য একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে যে একটি ছেলে তাঁর হবু শাশুড়ির সঙ্গে টেবিলের তলায় ‘ফুটসি’ খেলছেন!
অনেকেই বলছেন যে বিজ্ঞাপনের জগতে নিঃশব্দে একটা বিপ্লব ঘটছে। শুধুমাত্র নগ্ন মডেলদের দিয়ে সাহসী বিজ্ঞাপন বানিয়েই শিরোনামে থাকছেন না এ দেশের পরিচালকরা। সমকামিতা, দ্বিতীয় বিয়ে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি না দিয়ে সম্পর্কে থাকতে চাওয়া এ সবই আজকাল ভারতীয় বিজ্ঞাপনের বিষয়। |
|
মায়ের বিয়ে। |
রণবীর কপূরের হিরো মায়েস্ত্রো স্কুটি-র বিজ্ঞাপনটাই দেখুন। বিজ্ঞাপনে বেশ মজা করেই দেখানো হয় রণবীর তাঁর ‘গর্জাস’ প্রেমিকাকে বলছেন: ‘ম্যারি মি’। প্রেমিকা তা শুনে আশ্চর্য হয়ে রণবীরকে উল্টে প্রশ্ন করে বসেন যে তিনি নিশ্চয়ই সিরিয়াস নন। প্রথমে বেশ গম্ভীর মুখ করে তাকান রণবীর। তার পর এক গাল হাসি! মানে প্রেম-য়ে আছি। কিন্তু বিয়েতে নেই!
যে মিলিন্দ সোমান এক সময় ‘টাফ্টস’ জুতোর বিজ্ঞাপন করে বিতর্কের ঝড় তোলেন, তিনি আজ আবার ফিরে এসেছেন টেলিভিশনের পর্দায়। ওল্ড স্পাইস ডিওডোরেন্টের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে কী ভাবে এক অল্পবয়সি মেয়ে তাঁর প্রেমে পড়ছেন। মধু সাপ্রে আর তাঁকে জড়িয়ে সাপটি আজ উধাও। নতুন বিজ্ঞাপনে মিলিন্দ এখন বজবজের টুবলু। খোলা বুকের মিলিন্দের আজ চুল পেকেছে। কিন্তু তাঁর যৌন আবেদন এক ফোঁটাও কমেনি। টেলিস্কোপ হাতে তুলে নিয়ে তিনি সেটাকে বাঁশির মতো বাজাতে পারেন। আর তা দেখে এক অল্পবয়সি সুন্দরী বলে ওঠেন ‘ওয়ান্ডারফুল’। স্পষ্ট বাংলায় মিলিন্দ বলেন: ‘আমি জানি’। পর্দার টুবলু তথা বাস্তবের মিলিন্দ বুঝিয়ে দেন যে সাতচল্লিশেও তাঁকে দেখে অল্পবয়সি মেয়েদের হাঁটু কেঁপে ওঠে। হোক না বেশি বয়স, হোক না কাঁচাপাকা চুল। তার সঙ্গে আকর্ষণ না থাকার কী সম্পর্ক! মনের বয়সটা কম থাকলেই তো কেল্লা ফতে! বাস্তবে তো তাই চল্লিশোর্ধ তারকাদের নিয়ে ক্রেজ আজও অল্পবয়সি মেয়েদের মধ্যে মারাত্মক বেশি। |
সমকামিতা।
|
প্রেম-য়ে আছি।
কিন্তু বিয়েতে নেই। |
হবু শাশুড়ির সঙ্গে
টেবিলের তলায় ‘ফুটসি’। |
মনের বয়স কম
থাকলেই তো কেল্লা ফতে। |
|
বিপণনের দুনিয়াতে কি তা হলে সত্যিই কিছু পাল্টেছে? এখন কি সমাজ কী বলবে তাকে তুড়ি মেরে নতুন নতুন বিষয় নিয়ে বিজ্ঞাপন করাটাই ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে? তানিশ্ক-য়ের বিজ্ঞাপনের জন্য প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। বলছেন, “আমি এটা বিশ্বাস করি না যে আমার বিজ্ঞাপনটা একেবারে কোনও নিয়ম ভেঙে একদম নতুন কিছু করে দেখিয়েছে। এর কারণ দ্বিতীয় বিয়ে ব্যাপারটা তো আমাদের সমাজে অনেক বছর ধরেই প্রচলিত। তবে হ্যাঁ, যেটা ভাল তা হল, তানিশ্ক-য়ের মতো একটা ব্র্যান্ড এই রকম একটা বিষয়ে একটা স্ক্রিপ্ট নিয়ে বিজ্ঞাপন বানাতে রাজি হল। যে কোনও কাজ পেলেই আমি সেটা খুব সিরিয়াসলি করার চেষ্টা করি। তাই এই বিজ্ঞাপনটি শু্যট করার সময়ও আমার নিষ্ঠা একই রকম ছিল। তবে যেটা আমার খুব ভাল লেগেছিল তা হল, যে এই বিজ্ঞাপনটি পরিচালনা করেছেন গৌরী শিন্ডে।”
গৌরী অবশ্য তাঁর পরিচালিত বিজ্ঞাপন সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানাচ্ছেন যে তারিফ-য়ের পুরো কৃতিত্বটা শুধুমাত্র তাঁর বা অভিনেতাদের প্রাপ্য নয়। “আমাদের ক্লায়েন্ট (তানিশ্ক) আর এজেন্সি লো লিনটাস অ্যান্ড পার্টনারস-কেও ক্রেডিট দেওয়া দরকার। আমি তো এই কনসেপ্টটা শুনে লাফিয়ে উঠি। নিজের মনের মধ্যে কোনও ভয় ছিল না এই ধরনের একটা কাজ করতে গিয়ে। দ্বিতীয় বিয়ে তো আমার কাছে খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। যেটা ভাল লাগল তা হল এখন এই বাস্তবটা নিয়ে আমি একটা বিজ্ঞাপন বানাতে পারছি।”
গৌরী মেনে নিচ্ছেন যে আজকাল বিজ্ঞাপনে অনেক নতুন আর তাজা বিষয়বস্তু থাকে। এই বিজ্ঞাপনটি বানিয়ে গৌরী নিজের পরের সিনেমার স্ক্রিপ্টটি লিখতে বসেছেন। বলছেন, “এটা নয় যে আগে কেউ এ সব করলে বাধা দিত। তবে মানুষ সাবধানী হয়ে থাকতেন। যদি ব্র্যান্ড ইমেজের সঙ্গে এ সব না মানায়! তা হলে? সেই স্টেপটা এ বার নেওয়া হচ্ছে। সেই সাহসটা দেখানো হচ্ছে যাতে আমরা বলতে পারি চলো, করে দেখাই! প্রথমে আমাদের ৬০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন করার কথা ছিল। আমরা বিজ্ঞাপনটি বানাই ৯০ সেকেন্ডের। দু’টো ভার্সানে চলছে এখন।”
কিছু দিন আগে প্রিয়াঙ্কা একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন। শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন নিয়ে একটি এনজিও-র বিজ্ঞাপন ছিল সেটি। “একটা বাচ্চা ছেলে ‘ডাম্ব শরাড’ খেলছে। বাবা-মার সামনে নানা ভাবে অভিনয় করে দেখাচ্ছে। বাচ্চাটা এই ডাম্ব শরাড খেলার মধ্যে দিয়ে তার বাবাকে বোঝাচ্ছে যে তার এক কাকু তার জামাকাপড় খুলেছিলেন। বিজ্ঞাপনটা দেখে আমার একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়। কী সেনসেটিভ! আমার এমন সব গল্প ভাল লাগে যেখানে একটা মেসেজ থাকে। বিনোদনের মধ্যে মেসেজ থাকলেও আমার তা ভাল লাগে। অনেক মানুষকে ছুঁয়ে যায় সেই বার্তা,” বলছেন প্রিয়াঙ্কা।
হ্যাভেলস পাখার বিজ্ঞাপনটা যখন প্রথম দেখানো হয়, তখন অনেকেরই মনে হয় যে এটি বেশ অন্য রকম। এক দম্পতি (বিকাশ বর্মা আর শান্তি পণ্ডিত) এসেছেন তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে। রেজিস্ট্রার (যিনি নিজেও মহিলা) বলছেন যে বিয়ের পর পাত্রী নিশ্চয়ই নিজের নামটা শান্তি বর্মা লিখবেন। কথা শেষ হওয়ার আগেই পাত্র ভুল ধরিয়ে দেন। বলেন, না, তিনিই তাঁর স্ত্রী-র পদবিটা নেবেন। নিজের নাম লিখবেন বিকাশ পণ্ডিত হিসেবে। দূরে ভেসে আসে একটা গজল ‘কোই তাজা হাওয়া চলি!’
বাস্তবে এতটা হাওয়া বদলেছে কি না তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এক ডিভোর্সি মহিলা তাঁর ব্লগে লিখেছেন যে তানিশ্ক-য়ের বিজ্ঞাপনটা দেখে তাঁর চোখে জল আসে, কিন্তু বাস্তবের দুনিয়াটা একেবারেই আলাদা।
গৌরী এই ব্লগের কথা না জানলেও নিজেও কিছু লেখা পড়েছেন যা থেকে স্পষ্ট যে সব নারীবাদীও যে তাঁর বিজ্ঞাপন দেখে দারুণ খুশি, তা নয়। ফাস্টট্র্যাক-য়ের ফুটসি খেলার বিজ্ঞাপন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেউ এমনটাও বলছেন যে হবু শাশুড়ির সঙ্গে ‘ফুটসি’ খেলা আবার কোন দেশি অগ্রগতির পরিচয়! অন্যরা বলছেন যে এটা স্রেফ একটা মজার কনসেপ্ট। |
|
আট বছরে, স্যরা আর পেজ, কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি।
যা কিছু আদানপ্রদান হয়েছে, সবই স্কাইপের মাধ্যমে। |
বলছেন গৌরী, “মজার ব্যাপার হল যে কিছু নারীবাদীও আমার অ্যাডটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে আমি মনে করি যে কোনও কাজ করে তো সব সময় সবাইকে খুশি করা যায় না। এক এক ধাপে এগোতে হয়। সেটাই বড় ব্যাপার।”
তার পর বলেন স্কাইপের একটা বিজ্ঞাপনের কথা। বিজ্ঞাপনটির নাম ‘দ্য বর্ন ফ্রি ফ্যামিলি পোর্ট্রেটস’। বাস্তবের চরিত্রদের নিয়েই তৈরি বিজ্ঞাপনটি। স্যরা আর পেজ। একজন থাকেন ইন্ডিয়ানাতে। অন্য জন নিউজিল্যান্ডে। দু’জনেরই একটা হাত নেই। আট বছর ধরে তাঁরা বন্ধু। কিন্তু আট বছরে কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। যা কিছু আদানপ্রদান হয়েছে, সবই স্কাইপের মাধ্যমে। “জন্ম থেকেই এই দু’টি মেয়ের একটা করে হাত নেই। তাঁদের মায়েরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে দু’জনকে খুঁজে বের করেন। যাতে স্যরা আর পেজ নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ার করে নিতে পারেন। ইন্টারনেটে গেলে দেখতে পাবেন এই বিজ্ঞাপনটি। আমার বেশ পছন্দের। কিন্তু এই বিজ্ঞাপনটি নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। কেউ বলেছে এটি খুব ন্যাকা ন্যাকা আবেগপ্রবণ আর যেন কিছুটা জোর করে বানানো,” বলছেন গৌরী।
আরও একটা পছন্দের বিজ্ঞাপনের কথা বলেন তিনি। এটি ইউএন উইমেন-য়ের বিজ্ঞাপন। “গুগলে আপনি শুধু ‘উইমেন শুড নট’ শব্দ দুটো টাইপ করে দেখুন। পর পর কত বিষয়ে তথ্য উঠে আসবে যে কী কী জিনিস মেয়েদের করা উচিত নয়। এই ‘সেক্সিস্ট’ অ্যাটিটিউডের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেন করা হয়েছিল। আমার দারুণ লেগেছে,” বলছেন পরিচালক। |
|
আগে সাবধানী হয়ে অ্যাড বানানো হত। ভয় থাকত যদি
ব্র্যান্ড ইমেজের সঙ্গে না মেলে। এখন সাহস বেড়েছে।
গৌরী শিন্ডে |
|
|
একটা অ্যাডে দেখলাম, একটা বাচ্চা ‘ডাম্ব শরাডস্’
খেলার মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বোঝাচ্ছে।
প্রিয়াঙ্কা বসু |
|
ভারতীয় বিজ্ঞাপন দুনিয়া সমাজকেন্দ্রিক যে সব বিষয় নিয়ে এখন বিজ্ঞাপন বানাচ্ছে, তার নিরিখে কি চলচ্চিত্র জগৎ কোথাও পিছিয়ে যাচ্ছে? অনেক ক্ষেত্রে আজও ‘বোল্ড’ সিনেমা মানে তো বিকিনি পরে হিরোইন বিয়ারের বোতলে চুমুক দেওয়া। দর্শক নেবে না বলে অনেক ইন্টারেস্টিং ভাবনাচিন্তাকেও বড় পর্দায় ফুটিয়ে ওঠাতে পারেন না পরিচালকরা। কিন্তু কেউ এই প্রশ্নটা করছেন না যে, যে দর্শক নাকি ‘অন্য ধরনের বিজ্ঞাপন’ নিয়ে হইচই করছেন, সেই একই দর্শক তো আবার সিনেমাও দেখছেন। তা হলে বিজ্ঞাপনের দুনিয়াতে ক্লায়েন্ট আর এজেন্সি যে ঝুঁকিটা নিচ্ছেন, সেই সাহসটা সিনেমার জগৎ দ্বিধাহীন ভাবে দেখাতে পারছে না কেন? অরুণ আয়ার, লো লিনটাস অ্যান্ড পার্টনারস-য়ের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। বলছেন, “আসলে আমাদের দেশে ‘বোল্ড’ হওয়ার সংজ্ঞাটা বেশ ঘোলাটে। কিছু কিছু ছবিতে নিঃসন্দেহে বেশ অন্য রকম আইডিয়া তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো খুব একটা ঘনঘন বানানো হয় না। বিজ্ঞাপনের দুনিয়াতে আজকাল খুব ক্লাটার রয়েছে। তাই যে ব্র্যান্ডগুলোর একটা নির্দিষ্ট পয়েন্ট অব ভিউ আছে, সেগুলোই মানুষের চোখে ধরে।” তিনি আরও বলেন, যা বিজ্ঞাপনে দেখানো হচ্ছে, তা বাস্তবেরই আয়না। “আমরা এমন কিছু দেখাচ্ছি না যা কুড়ি বছর পর দেশে ঘটতে চলেছে। এই ভয় নিয়ে কাজ করা যায় না যে ‘দর্শকের ভাল লাগবে না।’ দর্শকের ভাল লাগছে। দর্শককে খাটো করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।”
ফিল্ম দুনিয়া কি সে যুক্তি কিনছে? |
|
|
|
|
|