হাতির হানায় জখম হয়েছেন এক দম্পতি। ঘটনাটি ঝালদা রেঞ্জের চামরদাগ গ্রামের। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ঝাড়খণ্ড সীমানায় সুবর্ণরেখা নদী পার হয়ে ১৩টি হাতির দল ঝালদার তুলিন গ্রাম পঞ্চায়েতের চামরদাগ, গুড়িডি, ঘুটিয়া, কেরোয়াড়ি প্রভৃতি এলাকায় ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চানায়। চামরদাগ গ্রামে দু’টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি একটি সাইকেল ও একটি মোটরবাইকও হাতির দল ভেঙে দেয়। ভেঙে যাওয়া বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মুটরু কুমার ও তাঁর স্ত্রী যশোদা কুমার আহত হন। একটি হাতি মুটরুর পা পিষে দেয় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ঝালদার রেঞ্জার সমীর বসু জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তিকে রাঁচি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
দিন কয়েক আগে এই হাতির দলেরই এক কনিষ্ঠ সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল ঝালদার ওই এলাকায়। যেখানে হস্তিশাবকের দেহ মিলেছিল, পরের দিন রাতে উপদ্রব চালায় হাতির দলটি। হুলাপার্টি দলটিকে ওই এলাকা থেকে খেদিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে পাঠিয়ে দেওয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের দলটি ওই এলাকায় ফিরে আসায় প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। দলটিতে একটিই দাঁতাল রয়েছে। তবে, আরও একটি নতুন শাবক যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সমীরবাবু। গ্রামবাসীরা অবশ্য দলটিকে এলাকায় থাকতে দিতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, বন দফতর যে কোনও প্রকারে দলটিকে এলাকা থেকে খেদিয়ে অন্য দিকে পাঠাক। স্থানীয় বাসিন্দা নগেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, “হাতির দলটা এলাকায় থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করবে।” গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, হাতির উপদ্রবে যা ক্ষতি হয়, ক্ষতিপূরণ বাবদ মেলে তার চেয়ে কম। তাই দলটিকে যে ভাবেই হোক তাড়াতে হবে।
এক দিকে, ঝাড়খণ্ড সীমানা পার হয়ে তুলিনে ঢুকেছে একটি পাল। অন্য দিকে, অযোধ্যা পাহাড়ে যে ১৪টি হাতির দল থাকছিল, তারাও ঝালদা রেঞ্জের খামার বিট এলাকায় ঢুকে পড়েছে রবিবার রাতে। পুরুলিয়ার ডিএফও ওমপ্রকাশ বলেন, “দল দু’টিকে খেদিয়ে দেওয়ার জন্য যা করা দরকার আমরা করব। আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে বন দফতর।” |