গুয়াহাটি, শিলচরের পরে এ বার আগরতলায় ‘আনন্দ’। ত্রিপুরার পুস্তক-প্রেমীদের আগ্রহ ও উৎসাহকে পাথেয় করে জ্ঞান-বিচিত্রার সার্বিক সহযোগিতায় আনন্দ পাবলিশার্সের একটি গ্রন্থ বিপণির পথ চলা আজ থেকে শুরু হল আগরতলায়। আনন্দ-বিপণির উদ্বোধন করলেন আগরতলা রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী হিতকামানন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র-সহ শহরের পুস্তকপ্রেমী মানুষ ও বিশিষ্টজনেরা।
বাজার অর্থনীতির আগ্রাসনে দেশের ছোট-বড় শহরে সর্বত্র যখন পণ্য সামগ্রীর অভিজাত প্রদর্শশালার ব্যাপকতা বাড়ছে, ঠিক সেই সময়ে বইয়ের মতো ‘পণ্য’ নিয়ে আগরতলার মতো ছোট্ট শহরে আনন্দ পাবলিশার্সের পদার্পণ বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে অবশ্যই আনন্দদায়ক বলে মনে করেন বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘বাংলা ভাষাকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে গেলে উন্নতমানের বই প্রকাশও জরুরি। প্রকাশনার ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু নির্বাচনে ‘একমুখিনতা’র পরিবর্তে ভাষা ও মননশীলতার মধ্যে ভারসাম্যের প্রয়োজন।” |
স্বামী হিতকামানন্দ বলেন, “বঙ্গ সংস্কৃতির মননশীল চর্চায় বাঙালির গৌরব আনন্দ পাবলিশার্স এবং আনন্দবাজার পত্রিকা।” তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “তবে বাণিজ্যকরণের প্রসারে সমাজে বইপ্রেমীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বাংলা ভাষার চর্চাও কমে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে আগরতলার মতো শহরে আনন্দের পুস্তক বিপণির উদ্বোধন অবশ্যই প্রশংসনীয় পদক্ষেপ।’ বাংলা ভাষায় উন্নতমানের ‘সম্পাদনার’ গুরুত্ব স্বীকার করে আনন্দ-র তরফে সুবীর মিত্র বলেন, ‘‘২০১১ সালে সিগনেট প্রেসের দায়িত্ব আনন্দ পাবলিশার্স নিয়েছে। এখন থেকে আনন্দের বিপণিতে সিগনেটের মূল্যবান বইও পাওয়া যাবে। যার অধিকাংশ প্রচ্ছদই সত্যজিৎ রায়ের তৈরি করা।’’ এটি আনন্দের ৩০তম পুস্তক বিপণি। |