সংস্কৃতি থেকে খেলা ব্যস্ত হয়ে উঠছে শীত শুরুর নিউ টাউন। আকর্ষণ বাড়ছে প্রকৃতি উদ্যানের। হবে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। হয়ে গেল অভিনব রাগবি খেলা।
নিউ টাউনে এ বারই প্রথম হবে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। শুরু আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে। থাকছে একগুচ্ছ ভূতের ছবি। হিডকো-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো আবেদন মঞ্জুর করেছে রাজ্য। প্রতি বছর নন্দন, ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার প্রভৃতি প্রেক্ষাগৃহে হত এই উৎসব। এ বার হবে রবীন্দ্রতীর্থে। ১১টা, ৩টে ও ৬টা রোজ থাকবে তিনটি করে প্রদর্শনী। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছবি আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। মোট ৫টি। সেগুলি হল ‘সুইস ফ্যামিলি রবিনসন’, ‘পিটার প্যান’, ‘সিন্ডেরেলা’, ‘দ্য লিটল মারমেড’ এবং ‘মেরি পপিন্স’। জার্মানি, নেদারল্যান্ড ও ব্রাজিল থেকে আসছে দু’টি করে ছবি। আনা হচ্ছে চিন, বাংলাদেশ, ইরান, তাইওয়ানের মতো এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ছবিও। তবে উৎসবের অধিকাংশ ছবি ইউরোপীয়। জার্মানি ও হল্যান্ড ছাড়াও দেখানো হবে স্পেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড, ইতালি, রাশিয়া ও বেলজিয়ামের ছবি।
গত শনিবার সেখানেই হল রাগবি ম্যাচ। খেলা ছিল প্রাক্তন ব্রিটিশ কূটনীতিবিদ পল ওয়ালশ-এর ‘জাঙ্গল ক্রোজ’ আর ‘সিসিএফসি’ ও কলকাতা পুলিশের সম্মিলিত দলের মধ্যে। আকর্ষণ ছিলেন মাওবাদী অধু্যষিত গণ্ডগ্রামের সাবেক বাসিন্দা, অধুনা ব্রিটেনের শৈলেন টুডু। ২০১০-এর কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় রাগবি দলের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।
প্রায় তিন বছর ধরে শৈলেন আছেন ইংলন্ডে। গ্লুকেস্টারে ব্রিটেনের শ্রেষ্ঠ রাগবি কলেজ থেকে ডিপ্লোমা নেওয়ার পরে খেলার সুবাদেই থেকে যান সেখানে। দেশে ফিরে মাঝেমাঝেই ছড়িয়ে দিচ্ছেন ‘খেলো রাগবি’-র প্রচার। আর তাঁর গুরু পল ওয়ালশ প্রতিষ্ঠিত ‘জাঙ্গল ক্রোজ’ এ বছর এক দশকে পা দিল। তিনিও উৎসর্গীকৃত রাগবি খেলায়। প্রকৃতি উদ্যানে সম্প্রতি হয়ে গেল একটি আর্ট ওয়ার্কশপও। মূল উদ্যোক্তা ছিলেন যোগেন চৌধুরী। ২০১২-র ২৯ ডিসেম্বর ৪৮০ একর জায়গা নিয়ে তৈরি এই উদ্যানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবাশিসবাবু বলেন, “ক্রমেই সবুজ ও বর্ণাঢ্য হচ্ছে জায়গাটা। আশা, এই শীতে দর্শকসমাগম গত বারের চেয়েও বেশি হবে।”
|
সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে-র স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল পাত্রসায়রে। আয়োজক স্থানীয় বৈদ্যনাথ স্মৃতি কলাকেন্দ্র। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় অনুশীলন চর্চাকেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি হয়। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক জয়দেব দাস জানান, মান্না দে-র গানের পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি, নাচ, রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। ওই অনুষ্ঠানে এলাকার ২৫০ জন শিল্পী ও পড়ুয়া যোগ দিয়েছিলেন। বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চ কমিটিও সোমবার সন্ধ্যায় মান্না দে-র স্মরণ অনুষ্ঠান করে। যদুভট্ট মঞ্চে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণীজনেরা। অনুষ্ঠানে ছিল স্মৃতিচারণ, আলোচনা ও মান্নার গান গেয়েই স্থানীয় শিল্পীদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। |