শুধু বই বেচাকেনায় আটকে না রেখে বইমেলাকে এ বার পুরোদস্তুর সাহিত্য উৎসব করে তুলতে চায় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। সেই লক্ষ্যে ‘কলকাতা ল্যাঙ্গোয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল’কেই এ বারের ৩৮তম আন্তর্জাতিক বইমেলার প্রধান মুখ করে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে ত্রিদিববাবু বলেন, “বইমেলা শুধু বই ব্যবসার জায়গা নয়, সাহিত্যেরও একটা বড় ইভেন্ট। সে জন্য এ বার কেএলএলএফ-কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শুধু সাহিত্য নয়, সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা ওই উৎসবে যোগ দিতে আসছেন দেশবিদেশ থেকে। মঞ্চের সাহিত্য নিয়ে বলতে আসছেন গিরিশ করনাড, মোহন আগাসের মতো সর্বভারতীয় নাট্যব্যক্তিত্ব। কথা চলছে অরুন্ধতী রায়ের সঙ্গেও।”
কয়েক বছর ধরেই কেএলএফ বইমেলার আকর্ষণ হয়ে উঠছে। এ বারও বইমেলার মূল অডিটোরিয়ামে ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। শুধু সাহিত্যের আলোচনা নয়, এ বার বিভিন্ন দেশের সিনেমা, নাটক, সঙ্গীত, নাচের সঙ্গে সাহিত্যের সম্পর্ক বিশেষ প্রাধান্য পাবে। |
এ ছাড়াও এ বার বিদেশি ভাষা শেখার জন্যও থাকছে বেশ কয়েকটি স্টল। ওই সব স্টলে উৎসাহীরা কোথায় কোন বিদেশি ভাষা শেখা যাবে সে সম্পর্কে তথ্য পাবেন। বিদেশি ভাষাশিক্ষার নানা ধরনের বইও কিনতে পারবেন।
বৈঠকে গিল্ডের সম্পাদক জানান, এ বারের বইমেলা শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ জানুয়ারি। আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার মেনে ৯ ফেব্রুয়ারিই বইমেলা শেষ হচ্ছে। এ বারের থিম ইনকা সভ্যতার দেশ পেরু। উদ্বোধন করবেন পেরুর বিখ্যাত কবি কার্লোস জারম্যান বেলি। ২০টি দেশ এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। থাকছেন কলম্বিয়ার সেই বিখ্যাত গোলকিপার রেনে হিগুয়েতাও। এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন ভারতে পেরুর রাষ্ট্রদূত জেভিয়ার পাওলনিচ।
বইমেলায় যাতায়াতও এ বার আগের থেকে সহজ হবে বলে আশা আয়োজকদের। গিল্ডের সভাপতি ও মাঠকর্তা সুধাংশু দে জানান, এ বার আর সায়েন্স সিটিতে নেমে রাস্তা পেরিয়ে আসতে হবে না। আন্ডারপাসটি এমন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যে সায়েন্স সিটি থেকে আন্ডারপাসে ঢুকে একেবারে বইমেলার মাঠে বেরোনো যাবে। গত বছরই আন্ডারপাসটি চালু হলেও তা দিয়ে বইমেলার গেটের কাছে এসে উঠতে হত। এ ছাড়া এ বারও অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা থাকছে বলে জানান সুধাংশুবাবু। |