পশ্চিম এশিয়ায় পোলিও দূরীকরণে এ বার বড়সড় পদক্ষেপ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সিরিয়া, মিশর, ইরাক, লেবানন, গাজায় আগামী ছ’মাসে ২ কোটি শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্তা ব্রুস অলওয়ার্ড জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে নতুন করে পোলিওর মারণবিস্তার দেখা দিয়েছে। ১৪ বছর আগে সিরিয়ায় পোলিও আক্রান্ত ছিলেন না এক জনও। কিন্তু সম্প্রতি গৃহযুদ্ধ শেষে এক সমীক্ষা বলছে, এখন সেখানে পোলিওয় বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা দশ।
তাদের বেশির ভাগেরই বয়স আবার দুইয়ের নীচে। টিকায় তালিবানি নিষেধাজ্ঞার জেরে পোলিও ফের থাবা বসিয়েছে পাকিস্তানেও। আমেরিকা বিভিন্ন রোগের জীবাণু টিকার অছিলায় দেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে, এই আতঙ্কে ইসলামি দুনিয়া বহু দিনই দূরে ঠেলে রেখেছিল নানা টিকাকরণ কর্মসূচিকে।
শুধু পশ্চিম এশিয়াই নয়, আমাদের ঘরের পাশের ছবিটা খুব একটা আলাদা নয়। খাস পশ্চিমবঙ্গেরই কিছু এলাকায় একই যুক্তিতে দীর্ঘদিন ঢুকতে পারেননি স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাই এখন অন্য ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার। ইমাম ভাতার বদলে এলাকার পোলিও টিকাকরণের মাসিক রিপোর্ট পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুসলিম সমাজের মাথাদের।
পশ্চিম এশিয়ায় প্রচার এবং টিকাকরণের উপরই ভরসা রাখছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সিরিয়ায় ইতিমধ্যেই সাড়ে ছ’লক্ষ শিশুকে পোলিওর টিকা খাওয়ানো হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পোলিও দূরীকরণ বিভাগের এক কর্তার কথায়, সিরিয়ায় ২০১১ এর মার্চে পোলিও ঠেকানোর হার ছিল ৯০%। দু’বছরেই তা এসে ঠেকেছে মোটে ৬৮%এ। ফলে এখনই সাবধান না হলে সমূহ বিপদ। |