মাটির নীচ দিয়ে যাওয়া পানীয় জলের পাইপ ফেটে জল উপচে পড়ছে বসিরহাটের টাকি-ইটিন্ডা রাস্তায়। বর্ষা পেরোলেও রাস্তায় জলের হাত থেকে রেহাই নেই মানুষের। পাশাপাশি পিচ উঠে গিয়ে এবড়োখেবড়ো রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে মাঝে মধ্যেই বিগড়োচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। অথচ প্রশাসন উদাসীন, এই অভিযোগে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মৈত্রবাগান এলাকার মানুষ।
বসিরহাটের পূর্ত দফতরের সহকারি বাস্তুকার তপন নস্কর বলেন, “বসিরহাট থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকার টেন্ডারের কাজ শেষ করে রাস্তার কাজ শুরু করতে এখনও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। যদিও জেলাপরিষদের পূর্ত ও পরিবহন দফতরের আধিকারিক নারায়ণ গোস্বামীর বক্তব্য, “ওই রাস্তার অবস্থা নিয়ে জেলা পর্যায়ের বৈঠকে দ্রুত কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫ দিনেক মধ্যে কাজ শুরু হবে।” |
বসিরহাটের খোলাপোতা থেকে ত্রিমোহনী পর্যন্ত টাকি রোড ও ত্রিমোহনী থেকে শহরের মধ্যে দিয়ে বেলতলা পর্যন্ত ইটিন্ডা রোডের অবস্থা এতটাই খারাপ যে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। অথচ ওই রাস্তাতেই হাসপাতাল, থানা বা মহকুমাশাসকের দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি রয়েছে। অথচ রাস্তার সর্বত্র পিচ উঠে গিয়েছে। ত্রিমোহনী থেকে বেলতলা পর্যন্ত রাস্তার নীচ দিয়ে যে পানীয় জলের পাইপ রয়েছে, তাও ফেটে গিয়ে জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। এই রাস্তার মেরামত না করে তার উপর দিয়েই সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য মালবাহী লরি চলছে। ফলে পিচ উঠে গিয়ে ধুলো ভর্তি হয়ে যাচ্ছে রাস্তা জুড়ে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিশ্রুতিই সার। এ বার কাজ চাই।
বসিরহাটের পুরপ্রধান কৃষ্ণ মজুমদার বলেন, “রাস্তার নীচের পাইপ পুরনো হয়ে যাওয়ায় মেরামতের কয়েক দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আপাতত লাগাতার কাজ করে মেরামত করা হবে। পরে স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে ভাবা হবে।” |