|
|
|
|
পুরভোটে ঝাড়গ্রাম |
|
আজ আসছেন মুকুল, প্রচারে চড়ছে পারদ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
পুরভোটের পারদ চড়ছে ঝাড়গ্রামে। আজ, সোমবার ঝাড়গ্রাম পুরভোটের দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে পদযাত্রা ও প্রচারসভা করতে অরণ্যশহরে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় জানিয়েছেন, সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের সাবিত্রী মন্দির মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করবেন মুকুলবাবু। মূল রাস্তা ধরে পদযাত্রাটি শেষ হবে জুবিলি বাজারের কাছে। এরপর নির্মীয়মান উড়ালপুলের কাছে প্রচারসভা করবেন মুকুলবাবু। মুকুলবাবুর নেতৃত্বে পদযাত্রাটিতে দলের ১৮জন প্রার্থীও হাঁটবেন। দীনেনবাবুর কথায়, “তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থেকে বামেরা অরণ্যশহরটিকে কার্যত ধ্বংসের পথে নিয়ে গিয়েছে। পুরবাসী পরিত্রাণ চাইছেন। আমরা অবশ্যই ভাল ফল করব। সোমবার মুকুলবাবুর পদযাত্রায় মানুষের ঢল সে কথা প্রমাণ করে দেবে।”
গত শনিবার ঝাড়গ্রামে দলের এক কর্মিসভায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বামেদের শূন্য করে দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী চিত্রা বসুর সমর্থনে স্টেশনপাড়ায় প্রচারসভা করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সভায় সৌমেনবাবুও ঝাড়গ্রাম পুরসভায় ১৮-০ করার ডাক দেন।
অন্য দিকে, ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। রবিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম শহরের কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খালিদ ইবাদুল্লা অভিযোগ করেন, “ঝাড়গ্রাম পুরভোটে কংগ্রেস প্রার্থীদের প্রচারে বাঁধা দিচ্ছে তৃণমূল। পুলিশ-প্রশাসন আমাদের কোনও রকম সহযোগিতা করছে না।” শহর কংগ্রেসের সভাপতি প্রশান্ত মণ্ডল-সহ দলীয় কর্মীদের একাংশ পুরভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শহরে কংগ্রেসের সংগঠন কার্যত দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়ানোয় আখেরে ভোট কাটাকুটির খেলার বামেদের সুবিধে হবে কি-না জানতে চাওয়া হলে দৃশ্যতই ক্ষোভে ফেটে পড়েন খালিদ ইবাদুল্লা। তাঁর দাবি, “তৃণমূলের প্রতি মানুষের মোহভঙ্গ হচ্ছে, হার্মাদ গিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় উন্মাদেরা এসেছে। জঙ্গলমহলে যে সমস্ত উন্নয়ন-কাজ হচ্ছে বলে তৃণমূলের সরকার দাবি করছে, ওই সব প্রকল্পের সিংহভাগ টাকা যোগাচ্ছে কেন্দ্র। আমাদের প্রার্থী ও দলীয় কর্মীরা মানুষের কাছে এ বিষয়গুলি নিয়ে প্রচার করছেন। ঝাড়গ্রাম পুরভোটে কংগ্রেস ভাল ফল করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
এবার ঝাড়গ্রাম পুরভোটে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী অশোককুমার মণ্ডল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ওই সময় কংগ্রেসের শহর নেতৃত্বের একাংশ অভিযোগ করেছিলেন, প্রলোভন ও চাপের কাছে অশোকবাবু হার মেনেছেন। এদিন অবশ্য খালিদ দাবি করেন, অশোকবাবু কোনও প্রলোভনের ফাঁদে পা দেননি। তৃণমূলের হুমকির চাপেই তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। অশোকবাবু মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় ঝাড়গ্রাম পুরভোটে কংগ্রেসের ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক দেবাশিস পাইন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নিখিল মাইতি, কংগ্রেসের পুর-নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান তপেন্দু সেনগুপ্ত প্রমুখ। |
|
|
|
|
|