|
|
|
|
খড়্গপুর ১ ব্লক |
ধানের ক্ষতি দেখলেন কৃষি-কর্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
অতিবৃষ্টিতে খড়্গপুর-১ ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষের এলাকা দেখলেন জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের উপ-কৃষি অধিকর্তা নিমাই রায়ের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে যান। দুর্গাপুজোর সময় অকাল বৃষ্টিতে আমন ধান চাষে নিয়ম মেনে কীটনাশক দেওয়া যায়নি। ফলে বাদামি শোষক পোকার আক্রমণে ওই ব্লকের আমন ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, অনেক চাষি জমিতে কিছু বাজার চলতি কীটনাশক ব্যবহার করেছেন। এর ফলে ক্ষতিকারক কীটের সঙ্গে মারা গিয়েছে মাকড়শা, বোলতার মতো ধানগাছের বন্ধু পোকাও। অতিবৃষ্টিতে ধানের গোড়ায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ বাড়ায় ধানে ক্ষতি বেড়েছে। এর জন্য কৃষকদের সচেতনতার অভাবই দায়ী বলে দাবি কৃষি আধিকারিকদের।
পোকার আক্রমণে ওই ব্লকের বেলডাংরী, পাঁচরুইয়া, শোভাপুর, চাঁন্দাবিলা, প্রতাপপুর-সহ বেশ কিছু গ্রামের আমন ধান চাষে ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ব্লকের প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমির ২০ শতাংশ ধানই নষ্ট হয়েছে। শনিবারই বেলডাংরী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নির্মল নায়েক আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন বলে কৃষি দফতরে খবর পৌঁছয়। এর পরেই এ দিন প্রতিনিধিদল ওই এলাকাগুলিতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আজ নির্মল নায়েকের বাড়িতেও যান। আজ, সোমবার থেকে ওই এলাকায় চাষিদের সচেতনতা বাড়াতে মাইকে প্রচার চলবে বলে জানা গিয়েছে। বিডিও কৃষ্ণেন্দুকুমার মণ্ডল বলেন, “চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর এসেছে। কৃষি দফতরে সেই খবর পৌঁছলে কৃষি আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কৃষি দফতরই ভাবনাচিন্তা করবে।” জেলা কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা নিমাই রায় জানান, অতিবৃষ্টির জন্য জমিতে জল জমার পাশাপাশি কৃষকদের ভুল ওষুধ ব্যবহারও ক্ষতির অন্যতম কারণ। আমরা এলাকা পরিদর্শন করেছি। রিপোর্ট কলকাতায় দফতরে পাঠাব। তিনি বলেন, “চাষিদের সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চলবে। আপাতত চাষিদের তিল, সর্ষের মতো মিনিকিট দেওয়ার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|