নানা রূপে সেজেছে মণ্ডপ। দেখার মতো আলোর বাহারও।
চন্দননগরের মতো চার দিনের নয়, হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসুদেবপুর গ্রামের জগদ্ধাত্রী পুজো হয় এক দিনই। তবে, জৌলুষ বা আড়ম্বর কিছু কম নয়।
মোট ১৪টি পুজো হয় এ গ্রামে। নবমীতে তা দেখতে ভিড় করেন আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ। গ্রামের প্রবীণেরা বলেন, ১৮৩০ সালে গ্রামের জনাদশেক যুবকের উদ্যোগে প্রামাণিকপাড়ায় প্রথম শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। যা ‘আদি পশ্চিমপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো’ নামে পরিচিত। তার পর থেকে ধীরে ধীরে বেড়েছে পুজোর সংখ্যা। বৈচিত্র্য এসেছে থিমে। আলোর বাহারে।
পারুলপাড়া সর্বজনীনের মণ্ডপে মান্না দে’র বাছাই করা ২০টি গানের রূপ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মডেলের মাধ্যমে। দাসপাড়া সর্বজনীনের থিম রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাঞ্জলি’। মধ্যপাড়া সর্বজনীনে এ বার প্রতিমা গড়া হয়েছে ঝিনুক দিয়ে। এমন বৈচিত্র্যের উদাহরণ আরও আছে। এ ছাড়া, এখানকার নাথবাড়ি, পাড়ুইবাড়ি এবং বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো দেখতেও ভিড় হয়। বাসুদেবপুরের পাশে ঘোষালচক, রঘুদেবপুর, বেলকুলাই ইত্যাদি গ্রামগুলিতেও আরও প্রায় ৫০টি পুজো হয়। |
বাসুদেবপুর ছাড়াও উলুবেড়িয়ার আরও কয়েকটি এলাকাতেও পুজোরর জাঁকজমক দেখার মতো। ডিটিএস ক্লাবের মণ্ডপের এ বারের থিম বর্ণপরিচয়। ধামসিয়া বন্ধুমহলের প্রতিমা তৈরি হয়েছে পাট দিয়ে। মণ্ডপ টালির। বাণীতলা রাজদূত সঙ্ঘ এবং বাহিরতোফা শিবতলার প্রতিমা সাবেক।
বাউড়িয়া, বাগনান এবং জগৎবল্লভপুরেও জগদ্ধাত্রী পুজো হয় আড়ম্বরের সঙ্গে। বাউড়িয়া বুড়িখালি বাদামতলা নেতাজি আদর্শ ব্যায়ামাগার সর্বজনীনের মণ্ডপ হয়েছে সনাতনী রাজ দেউলের আদলে। দিশারী সর্বজনীনের মণ্ডপ রাজস্থানের মন্দিরের আদলে গড়ে উঠেছে। বাগনানের স্বস্তিকের পুজোও হচ্ছে অতি আড়ম্বরের সঙ্গে। পারিবারিক পুজোর মধ্যে মহাদেবপুরের ঘোষ পরিবারের পুজো হচ্ছে ১০৮ বছর ধরে। গোবর্ধনপুরের ঘোষ পরিবারের ২৫ বছরের পুজো পারিবারিক হলেও সর্বজনীন রূপ নেয়। জগৎবল্লভপুরের ঘোড়াদহ জমিদার বাড়ি ৩০৫ বছরের প্রাচীন। উত্তর মাজু রায় পরিবারে ১০০ বছরের জগদ্ধাত্রী এলাকায় যথেষ্টই বিখ্যাত। পুজো হচ্ছে ডোমজুড়, শ্যামপুর, আমতাতেও। |