কোথাও মাথা তুলেছে মিশরের পিরামিড। কোথাও বিশাল মন্দির। কোথাও আলোয় আইফেল টাওয়ার, কোথাও টেমস নদী।
চন্দননগর নয়, এ ছবি হুগলিই প্রত্যন্ত এলাকা খানাকুলের রাজহাটির। যেখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর রমরমা দেখার মতো। কোনও পুজোর বাজেট পাঁচ লক্ষ, কোনওটার সাত লক্ষ ছাড়িয়েছে। চন্দননগরের মতোই এ তল্লাটেও চার দিন ধরে চলে উৎসব। রাত পর্যন্ত রাস্তায় ঘোরেন মানুষ।
তবে, সংখ্যার বিচারে রাজহাটির পুজো নেহাতই কম। মাত্র ১০টি। প্রতিটি পুজোর উদ্যোক্তারাই পুজোর দিনগুলিতে নানা জনকল্যাণমূলক কাজে সামিল হন। কোথাও পরিবেশ দূষণ নিয়ে সচেতনতা প্রচার, কোথাও ভ্রাতৃত্ববোধ। কেউ আবার সবুজায়ন নিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করে।
এলাকার সবচেয়ে প্রাচীন পুজো পাড়িয়াল পরিবারের। কয়েকশো বছরের। এ ছাড়া, আমরা সবাই গোষ্ঠীর পুজোর এ বার ৫০ বছর। মণ্ডপ সাজানো হয়েছে রেশমে। দিশারী গোষ্ঠী ২১টি ঢাক দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়েছে। অঙ্কুর গোষ্ঠীর থিম পিরামিড। সৃষ্টি গোষ্ঠীর মণ্ডপ জুড়ে মোজাইকের কাজ। মন্দিরের আদলে মণ্ডপ উদয়ন-এর। রয়্যাল বুলেট গোষ্ঠীর মণ্ডপে পাটকাঠির কাজ দেখতে ভিড় হচ্ছে ভালই। চটশিল্পকে ব্যবহার করা হয়েছে কল্পতরু গোষ্ঠীর মণ্ডপে। প্রায় প্রতিটি পুজোই ঝলমল করছে চন্দননগরের আলোয়।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতেছে আরামবাগ শহরও। এখানে প্রায় ১৫টি পুজো হয়। বিভিন্ন পুজোর সঙ্গে মিশে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তিন নম্বর ওয়ার্ডের স্পোর্টিং ইউনিয়নের পুজোর এ বার ৪৪ তম বর্ষ। প্রতি বছরই এই পুজোয় থাকে আতসবাজির প্রদর্শনী। মনসাতলার আমরা সবাই ক্লাবের পুজোয় প্রতিযোগিতামূলক নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। |