|
|
|
|
উপজাতি সম্মেলনে আর্থিক স্বয়ম্ভরতার ডাক সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
‘স্বয়ম্ভর ত্রিপুরা’ গড়ার আহ্বান জানাল সিপিএমের উপজাতি সংগঠন, গণমুক্তি পরিষদ (জিএমপি)। আগরতলা থেকে প্রায় ৬৫ কিমি দূরে খোয়াইয়ে গত কাল থেকে শুরু হয়েছে জিএমপি’র ২০তম সম্মেলন। শান্তি-সম্প্রীতি, জনজাতি ঐক্য বজায় রেখে রাজ্য যাতে অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও ‘স্বয়ম্ভর’ হয়ে উঠতে পারে, সেই দিশা সামনে রেখেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ‘স্বয়ম্ভর ত্রিপুরা’ গড়ার স্লোগান তোলেন। গত কালের প্রকাশ্য সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাত, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা, সাংসদ বাজুবন রিয়াং, জিএমপির সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন দেববর্মা, সভাপতি নারায়ণ রূপিণী প্রমুখ।
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বামপন্থী এই সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান বৃন্দা কারাত। ত্রিপুরায় উপজাতি সম্প্রদায়ের আর্থিক, সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে দেশের অন্যত্র উপজাতিদের অবস্থার তুলনা টানেন বৃন্দা। তাঁর অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলার উপজাতিরা চূড়ান্ত দুর্দশার শিকার। তাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে অন্ধ্র সরকার।
বৃন্দার বক্তব্য, পাশাপাশি, ত্রিপুরায় উপজাতিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা প্রশংসনীয়। সারা দেশে উপজাতিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জিএমপি’র ‘রাজনৈতিক’ আন্দোলন তীব্র করার আহ্বান জানান তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই সমাবেশেও কেন্দ্রে ‘বাম-গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরেপেক্ষ’ সরকার গড়ার আহ্বান জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের কোণঠাসার পাশাপাশি দেশে বিকল্প অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য জিএমপিকে লড়াই জারি রাখতে হবে।’’ বাম গণতান্ত্রিক আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে জিএমপি’র আন্দোলন দিশা দেখাবে বলে আশা করেন মুখ্যমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|