|
|
|
|
ভোটের আগে ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী |
সংবাদ সংস্থা • বিলাসপুর |
ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা ভোটের আগের দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কৃষ্ণমূর্তি বান্ধির বিরুদ্ধে। পরে আবার অভিযোগকারিণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে ওই নেতার ঘনিষ্ঠ এক প্রাক্তন বিচারকের বাড়ি থেকে। ভোটের আগে এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে শাসক দল বিজেপি।
আগামী ভোটেও মাস্তুরি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কৃষ্ণমূর্তি। বিলাসপুরের কোতোয়ালি থানায় কৃষ্ণমূর্তি ও প্রাক্তন বিচারক আর আর ভরদ্বাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এক মহিলা। থানার বাইরে সংবাদমাধ্যমের কাছেও মুখ খোলেন তিনি।
মহিলার দাবি, ভরদ্বাজ প্রথমে তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তিনিই তাঁকে কৃষ্ণমূর্তির কাছে নিয়ে যান। মহিলার অভিযোগ, কৃষ্ণমূর্তি তাঁকে চাকরি দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভরদ্বাজ। এমনকী, তাঁর সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্বও প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভরদ্বাজ। সে সব কিছুই হয়নি। উল্টে কৃষ্ণমূর্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন। আটকে রেখে অন্য বেশ কয়েক জনের সঙ্গে যৌন সংসর্গে বাধ্য করা হয় তাঁকে।
কোতোয়ালি থানার সামনে কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরে ভরদ্বাজের বাড়ি থেকে দগ্ধ অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। পুলিশ জানায়, থানায় অভিযোগ করার পরে ভরদ্বাজের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে চলে যান মহিলা। ওই প্রাক্তন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরে কেন তিনি ফের তাঁরই বাড়িতে যাবেন তার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি পুলিশ। ভরদ্বাজ ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কৃষ্ণমূর্তির দাবি, নির্বাচনের আগে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস। ওই মহিলাকে চেনেন না। কোনও প্রমাণ ছাড়া তাঁর চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে। বিলাসপুরের পুলিশ সুপার হরিশ যাদবের বক্তব্য, “আমরা ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত করছিলাম। তার মধ্যেই ওই মহিলার মৃত্যুর খবর পাই। পুরো বিষয়টি নিয়ে নতুন ভাবে চিন্তা করতে হবে।” |
|
|
|
|
|