|
|
|
|
মহিলা কমিশনের প্রধান বাঙালি |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
অনেক দিন পর ফের ঝাড়খণ্ডে একটি সংস্থার শীর্ষে এক বাঙালি মহিলাকে বসালেন রাজ্য সরকার। রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে সাহিত্যিক মহুয়া মাজির নাম ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার মহুয়া দেবীকে ওই পদে বসানোর কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
মহুয়া দেবীর আগে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ছিলেন হেমলতা এস মোহন। সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। তারপরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই পদে মহুয়া দেবীকে নিয়োগ করা হয়। উল্লেখ্য, রাজ্য মহিলা
|
মহুয়া মাজি |
কমিশন তৈরি হওয়ার পরে প্রথম চেয়ারপার্সনও একজন বাঙালি মহিলাই ছিলেন। প্রথম চেয়ারপার্সন লক্ষ্মী সিংহ জন্মসূত্রে বাঙালি। লক্ষ্মী দেবী এ রাজ্যের মুখ্যসচিব পদেও ছিলেন। এ বার দ্বিতীয় বাঙালি মহিলা চেয়ারপার্সন হলেন মহুয়া দেবী। ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রশাসনে এখন কয়েক জন বাঙালি রয়েছেন।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বাঙালিরা। ঝাড়খণ্ড বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিদ্ধার্থজ্যোতি রায় বলেন, “উনি সাহিত্যিক ঠিকই। তবে ওঁর কাজের একটা বড় অংশ জুড়েই সামাজিক কাজকর্ম রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের নিয়ে উনি দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। দীর্ঘ দিন পর প্রবাসে আবার একজন বাঙালি শীর্ষ স্তরে উঠে এলেন।” বাঙালি হলেও কিন্তু মহুয়া দেবীর পরিচিতি এ রাজ্যে হিন্দি সাহিত্যিক হিসেবেই। মহুয়া দেবীর কথায়, “আমার যে-কোনও রচনার মধ্যেই আমি চেষ্টা করি সমাজব্যবস্থার কোনও-না-কোনও দিককে ছুঁয়ে যেতে। যে কারণে আমার প্রিয় ঔপন্যাসিক মহাশ্বেতা দেবী।”
নিজের সাহিত্য কর্মের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন প্রবাসী এই সাহিত্যিক। ২০০৭ সালে ‘ইন্টারন্যাশনাল লিটারারি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন তিনি। রোমের স্যাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে তাঁর রচনা ‘মি বোরিসাইল্লা’ নামে একটি হিন্দি উপন্যাস পাঠ্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। মহুয়া দেবীর নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে জেএমএম-এর মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা আঞ্চলিক দল। এ রাজ্যের বাঙালিদের জন্য আমরা সব সময় লড়াই করি। এর আগেও আমরা সরকারে থাকার সময় বাঙালিদের প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত করেছি। এ বারেও আমাদের সরকার সেই চেষ্টা করছে।” |
|
|
|
|
|