সর্বমঙ্গলা মন্দিরের যাত্রীনিবাসে এক যুবক-যুবতীর থাকা নিয়ে অশান্তি হল বর্ধমানে। এর জেরে মন্দিরের অফিসে ভাঙচুর চালায় জনতা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই দু’জনকে ঘর দেওয়ার ব্যাপারে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। শেষে পুলিশ গিয়ে তাঁদের দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যাত্রীনিবাসে থাকার জন্য দুপুর ১২টার মধ্যে আবেদন করা যায়। কিন্তু ওই দুই যুবক-যুবতী এ দিন দুপুর দুটো নাগাদ সেখানে এলেও কেয়ারটেকার তাঁদের ঘর দিয়ে দেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা অমরনাথ সিংহ, রাধারানি মণ্ডলদের। তাঁদের দাবি, এ দিন ওই যুবক-যুবতী যে ঘর ‘বুক’ করেছিলেন তার কোনও রসিদও যাত্রীনিবাসের কেয়ারটেকার দেখাতে পারেননি।
ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দিরের ট্রাস্ট কমিটির সম্পাদক-সহ গোটা কমিটির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। আটকে রাখা হয় কেয়ারটেকার বিশ্বনাথ সিংহ ও ট্রাস্ট কমিটির সম্পাদক আশিসকুমার দাশগুপ্তকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। ট্রাস্ট কমিটির সম্পাদক আশিসবাবুর দাবি, “ওই যুবক প্রায়ই মন্দিরে যাতায়াত করেন।
তাই তিনি স্ত্রীকে নিয়ে যাত্রীনিবাসের ঘর চাইলে কেয়ারটেকার দিয়ে দিয়েছেন।” তাঁর সংযোজন, “আমরা নতুন করে মন্দিরের সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘেরার উদ্যোগ নিতে অনেকে ক্ষুব্ধ। ট্রাস্ট কমিটির তরফে এ দিনের ঘটনাটি খতিয়ে দেখব।” বর্ধমান থানার আই সি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওই দুই যুবক-যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী নন, প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |