শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ‘অভ্যবতার’ অভিযোগ তুলে বাগানে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্কের’ ঘোষণা করল ডুয়ার্সের নিদাম চা বাগান কর্তৃপক্ষ। শনিবার দুপুরে মালবাজার মহকুমা শাসকের দফতরে এবং মালবাজার থানায় সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ পাঠিয়ে দেয় বাগান কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাতেই বাগানের ম্যানেজার সহ মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। শনিবার সকাল থেকেই বাগানে অচলাবস্থা শুরু হয়। এদিন শনিবার বাগানে মজুরু হওয়ার কথা থাকলেও, মালিকপক্ষের কেউ না থাকায় মজুরি বিলি হয়নি।
অচলাবস্থা শুরু হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাগানের প্রায় ৮০০ জন শ্রমিক। বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সকালে বাগানের সহকারি ম্যানেজার আয়ুব আলির সঙ্গে একাংশ শ্রমিকের বচসা বাধে। বচসাকে কেন্দ্র করে ম্যানেজারকে মারধরের অভিযোগও ওঠে ওই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এদিন পাঠানো বাগান কর্তৃপক্ষের নোটিশে সেই ঘটনাকে উল্লেখ্য করে একাংশ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভ্যবতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বাগানের ম্যানেজার সহ অনান্য প্রতিনিধিরা অবশ্য এদিন সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বাগানের এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, “যা বলার সেটি লিখিত ভাবে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে প্রশসনকে ফের জানানো হবে।”
কংগ্রেস প্রভাবিত চা শ্রমিক সংগঠন এনইউপিডব্লুর নিদাম চা বাগান ইউনিট সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “কেন মালিকপক্ষ আচমকা বাগান ছাড়লেন তা বুঝতে পারছি না।” সিটুর ইউনিট সম্পাদক সুনীল ওঁরাও, আদিবাসী বিকাশ পরিষদের প্রোগ্রেসিভ টি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের নিদাম ইউনিট সম্পাদক দুর্গা মুণ্ডারা বলেন, “বাগানে শুক্রবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালেও তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া উচিৎ।” তৃণমূল কংগ্রেসের তরাই ডুয়ার্স প্লানটেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের ইউনিট সম্পাদক রাম খেরিয়া বলেন, “পাতা তোলা নিয়ে বচসা হয়েছিল শুনেছি। তবে তার কারণে সকলকে বিপদে ফেলে বাগান বন্ধ করে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না।” মালবাজারের মহকুমা শাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, “বিষয়টি শ্রম দফতরে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।” |