|
|
|
|
সন্ত্রাস ভুলে এ বার খেলায় মাতছে রাঁচি |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
পটনা বিস্ফোরণের সঙ্গে নাম জড়ানোয় অনেকটাই ‘গুমোট’ হয়েছিল রাঁচির পরিবেশ। এমনই পরিস্থিতিতে শহরবাসীকে মন ভালো করার ‘রসদ’ দিল ‘জুনিয়র সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ’।
পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ঠাণ্ডা লড়াই’-এর আঁচ যেমন কমিয়ে দেয় দু’দেশের ক্রিকেট সিরিজ। স্যাফ গেমসে জুনিয়র বিভাগের এই প্রতিযোগিতা প্রথম চালু হয় গত বছর। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে তা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয়বার তা হচ্ছে ভারতে—রাঁচির খেলগাঁও স্টেডিয়ামে। প্রতিযোগিতার জন্য সেজে উঠছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ওই ক্রীড়াঙ্গন।
গাঁধী ময়দানের বিস্ফোরণের পর থেকে সংবাদ-শিরোনামে রয়েছে রাঁচিও। তার মধ্যে খানিকটা নীরবেই শুরু হয় জুনিয়র স্যাফ গেমসের প্রস্তুতি-পর্ব। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান-সহ আটটি দেশ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। শনিবার থেকে শহরে আসবেন প্রতিযোগীরা। দু’দিন ধরে অ্যাথলেটিক্স-এর ১৫টি ‘ইভেন্ট’ হবে। ঝাড়খণ্ড অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন সচিব বুধুয়া ওঁরাওয়ের কথায়, “এ খেলার কপাল খারাপ। কতজনই তার খবর রাখেন? তবে মনে রাখতে হবে বহু পুরনো সময়ে গ্রিসে যুদ্ধ চলাকালীন মশাল-দৌড়ে সেখানে শান্তির বার্তা পাঠানো হয়েছিল।”
তেমনই বার্তা দিতে চায় রাঁচিও।
পটনায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জেরে শহরের তরুণ-যুবক গ্রেফতার হওয়ায় আশঙ্কা ছড়িয়েছে। বিস্ফোরক উদ্ধারে জুড়েছে আতঙ্কও। এখনও শহরের রাস্তায় দিন-রাতে পুলিশের কড়া নজরদারি। এমনই পরিস্থিতি থেকে শহরবাসীকে ‘মুক্ত’ করতে শান্তির বার্তা দিতে চাইছে ঝাড়খণ্ড সরকার। প্রশনাসন বোঝাতে চাইছে, রাঁচি সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর নয়। বরং, রাঁচি মানে ক্রিকেট। মহেন্দ্র সিংহ ধোনী। ছাত্রছাত্রীদের আন্তর্জাতিক ওই প্রতিযোগিতা দেখানোর জন্য ময়দানে নিয়ে যেতে স্কুলগুলির কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। সরকার চায়, ১১ ও ১২ নভেম্বর প্রতিযোগিতা চলাকালীন স্টেডিয়াম চত্বরে যেন উৎসবের মেজাজ ছড়িয়ে যায়। ১০ তারিখ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। হাজির থাকার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশেরও। গান গাইবেন মুম্বইয়ের শিল্পী।
উদ্যোক্তারা জানান, খেলগাঁও স্টেডিয়ামে এখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে। দু’দিনের প্রতিযোগিতায় ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো শিল্পী লোকনৃত্য পরিবেশন করবেন। স্টেডিয়াম থেকে এক কিলোমিটার দূরেও রাস্তার ডিভাইডারে নতুন ঘাসের বাগান। স্টেডিয়ামের দেওয়ালে নতুন রং-এর প্রলেপ। বদলাচ্ছে দর্শকাসনের চেয়ারগুলিও।
এ বার খেলাধুলোতেই খবরের শিরোনাম হতে চায় রাঁচি। |
|
|
|
|
|