সনিয়ার সময় নেই, ইন্দিরা-রাজীব পলিথিনে বাঁধা
বারেও মুক্তি পেলেন না ইন্দিরা। শিলচর কংগ্রেস অফিসে পলিথিনেই বাঁধা পড়ে রইলেন তিনি। আসলে কংগ্রেসের বর্তমান সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সময় পাচ্ছেন না শিলচরের কংগ্রেস নেতারা। সেই কারণেই ইন্দিরার এই বিড়ম্বনা। এ বার, ইন্দিরা-হত্যার ২৯ বছর পূর্তিতে কংগ্রেস নেতারা সনিয়ার সময় পাওয়ার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই সময় মেলেনি। ফলে ফের অপেক্ষা করতে হবে শিলচর কংগ্রেসকে, ইন্দিরাকেও।
শিলচরের এক সময়কার দোর্দণ্ডপ্রতাপ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের সময়েই এখানকার কংগ্রেস ভবনের আধুনিকীকরণ করা হয়। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অরুণ দত্ত মজুমদারের কথায়, তখনই ঠিক হয় কংগ্রেস অফিসের সামনে বসানো হবে ইন্দিরা গাঁধীর একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি। কংগ্রেস অফিসের পাশেই তৈরি করা হয় রাজীব ভবন নামে একটি প্রেক্ষাগৃহও। তার সামনে রাজীব গাঁধীর একটি মূর্তি বসানোরও সিদ্ধান্ত নেন সন্তোষমোহন। রাজীব ভবন ও রাজীব গাঁধীর প্রতিমূর্তির সঙ্গে অবশ্য সরাসরি সম্পর্ক নেই কংগ্রেসের। পাঁচিল-ঘেঁষা অডিটোরিয়ামটি ‘সোশ্যাল, কালচারাল এডুকেশনাল অ্যান্ড স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট’ শীর্ষক একটি সংস্থার দ্বারা পরিচালিত হয়। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বাদল দে জানান, মা ও ছেলের মূর্তি দু’টিরই উন্মোচন এক সঙ্গে করা হবে বলে ঠিক করেন সন্তোষবাবু। সেই মতো মূর্তি তৈরি হয়ে ২০১১ সাল থেকেই পড়ে আছে। অসুস্থ সন্তোষবাবুও জানেন না কবে মূর্তি দু’টি পলিথিনমুক্ত হবে।
ইন্দিরা-রাজীবের পলিথিনে বাঁধা ব্রোঞ্জ মূর্তি। ছবি: স্বপন রায়।
ট্রাস্টের সদস্য তথা কংগ্রেস বিধায়ক সুস্মিতা দেবের কথায়, “বাবা (সন্তোষমোহন দেব) অসুস্থ। মূর্তি উন্মোচনের ব্যাপারটা কবে কী হবে, তা নিয়ে কিছুই বলতে পারছি না।” ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী অবশ্য শীঘ্র উন্মোচনের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি জানান, “সনিয়া গাঁধী নিজেও শিলচরে মূর্তি দু’টি বসানোর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তিনিই বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ললিতা কাটের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। তাই শেষ বারের মতো সনিয়া গাঁধীর সময়ের জন্য চেষ্টা করা হবে। তা না হলে অন্য কাউকে দিয়ে মূর্তি দু’টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করানো হবে।”
উল্লেখ্য, মূর্তি দু’টি বসানোর ব্যাপারে বিএইচইউ-এর অধ্যাপক ললিতা কাট শিলচরে এসেছিলেন। কোন জায়গায় ঠিত কত উচ্চতার মূর্তি বসানো যেতে পারে, সে সব তিনিই ঠিক করে দেন। মূর্তি নির্মাণ করেন কলকাতার কাশী মিত্র ঘাট স্ট্রিটের জি পাল। তিনি ব্রোঞ্জের মূর্তি দু’টি নিয়ে এসে, নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মূর্তির পলিথিনের ঘেরাটোপ আর খোলেনি। আজও কালো পলিথিনে আবৃত ইন্দিরা গাঁধী! আর তাঁর ছেলের গায়ে চকচকে সবুজ পলিথিন!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.