গোরস্থানে সাবধান! কবর থেকে উঠে এল জ্যান্ত একটা মানুষ।
সাও পাওলোর ঘটনা। গত সপ্তাহে পরিবারের গোরস্থানে ফুল নিয়ে গিয়েছিলেন মহিলা। চলে আসবেন, হঠাৎই চোখে পড়ল কাছেই মাটি যেন কাঁপছে। কেমন তর গোঙানির শব্দ। চোখ ঘোরাতেই তাঁর নজরে পড়ল, কবর থেকে উঠে এসেছে দু’খানা হাত, একটা মাথা। শিউরে উঠেন তিনি। পড়ি কী মরি করে দৌড় লাগান।
পরে কী যেন মনে হওয়ায় ফিরে গিয়েছিলেন গোরস্থানে। খবর দেন পুলিশে। কিন্তু পুলিশ তাঁর কথা হেসেই উড়িয়ে দেয়। মহিলা এ দিন বললেন, “ওরা বরং আমাকেই জেরা করা শুরু করে। বলে, ‘মাথাটাথা ঠিক আছে? ইয়ার্কি মারছেন নিশ্চয়।” মহিলা বিশ্বাস করাতে পারেননি। তবে হাল ছাড়েননি। ছুটে যান গোরস্থানের অফিসে। অনুরোধ করেন পুলিশকে বোঝাতে, তাঁর বলা কথাগুলো আগাগোড়া সত্যি। এর পরের দৃশ্য ইতিমধ্যে অনেকেরই জানা। ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। আপাত দৃষ্টিতে ভৌতিক মনে হলেও মহিলা ভূত দেখেননি। তাঁর বলা কথাগুলোও কিন্তু এক বর্ণও বানানো ছিল না। পুলিশ গিয়ে দেখে, মাটিতে ঢুকে রয়েছে অর্ধেক দেহ। শুধু মাথাটা আর দু’টো হাত বেরিয়ে। মুখ দেখে মনে হয়, প্রাণ যেন দেহত্যাগের অপেক্ষায়। তবু মাটির বন্দি-দশা থেকে মুক্তি পেতে শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় হাসপাতালে এখন চিকিৎসা চলছে লোকটির। বেঁচে থাকার কোনও ছাপই নেই শরীরে। শুধু শ্বাসটুকুই পড়ছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, “ধীরে ধীরে জীবনে ফিরছেন উনি।” পুলিশ জানিয়েছে, কিছু লোকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন উনি। ওরা মারধর করে জখম অবস্থায় একটা ফাঁকা কবরের মধ্যে ফেলে দেয়। এর পর শরীরের অর্ধেকটা মাটি চাপা দিয়ে চলে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, জ্ঞান ফিরলে ওই মহিলাকে দেখতে পান লোকটি। কিন্তু কথা বলার শক্তি ছিল না। ভাগ্যিস তাঁর গোঙানি শুনতে পান মহিলা। তাই এ যাত্রা রক্ষা মিলল, মন্তব্য এক পুলিশ-কর্তার।
ব্রাজিলে এই ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। গত তিন মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ঘটল। গত বার ঘটেছিল খাস রাজধানীতে। পুলিশ তাই বলছে গোরস্থানে...। |