মাসির বাড়ি যাওয়ার পথে ১৫ বছরের এক নাবলিকাকে বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার চকশেহেরদি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে পুলিশ একজনকে ধরেছে। নাবালিকাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে ধর্ষণ করে চার যুবক গ্রামের এক পুকুর ধারে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। শুক্রবার সকালে সাউথ মালদহ কলেজের পিছনে একটি লিচু বাগান লাগোয়া একটি পুকুরে ধারে ওই নাবালিকাকে অচৈতন্য হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামের একজন বাসিন্দা। এর পরে পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। পুলিশ মোস্তাফা কালাম ওরফে ইলু শেখ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “চার জন ধর্ষণকারীর মধ্যে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি তিন জন পালিয়ে গিয়েছে। ধর্ষণকারী বাকি তিন জনকে পুলিশ ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে।” ওই নাবালিকার বাবা এক মাস ধরে দিনমজুরির কাজে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওই নাবালিকা হেঁটে একাই বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভাদুটোলা গ্রামে মাসির বাড়িতে যাচ্ছিল। মাঝ রাস্তায় চার যুবক বাইকে ওই নাবালিকাকে তুলে চরশেহেরদি গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে ধর্ষণকারীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে ওই নাবালিকার ডান হাতে আঘাত করে। সারা রাত ধরে চার যুবক দফায় দফায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে ওই চার যুবক রাতের অন্ধকারে পুকুর ধারে নাবালিকাকে ফেলে পালিয়ে যায়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে ওই নাবালিকার জ্ঞান ফেরে। পুলিশ ওই নাবালিকার কাছ থেকে জানতে পারে, পাশের গ্রামের রাজু শেখ, মোস্তাফা কামাল, ইলু শেখ ও আরও একজন তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ মোস্তাফা কামালকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মোস্তাফা কামাল আমের ব্যবসা করে। রাজু শেখের এলাকায় মোবাইল মেরামত করার দোকান রয়েছে। |