ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগ-সহ পূর্ণাঙ্গ বোর্ড গঠন না হওয়ায় বালুরঘাট পুরসভার আভ্যন্তরীণ কাজকর্মেও প্রভাব পড়তে শুরু করল। পুরসভা সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরের বিল না মেটানোয় পুরসভার টেলিফোন এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিলের মাত্র ৪১৬০ টাকা গত ২৯ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেওয়ার সময় ছিল। বিএসএনএল সময়সীমার মধ্যে বিল না পেয়ে দুটি লাইন কেটে দেওয়ার পর টনক নড়ে। বিল মেটানোর উদ্যোগ নিতে তাঁদের থমকে যেতে হয়। কেননা, চেয়াপার্সনের বদলে চেকে সই করার মত পুরসভায় কেউ নেই। পুরসভার চেয়ারপার্সন চয়নিকা লাহা ভাই ফোঁটার পর দিন থেকে কলকাতায় আছেন। এতে চেকে সই করার কেউ নেই। গত কয়েক দিন ধরে বালুরঘাট পুরসভার ওয়েবসাইটে তথ্য এন্ট্রি-সহ যাবতীয় কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে। কর সংগ্রহ থেকে হিসাবপত্র রাখা, শংসাপত্র বিলির মত যাবতীয় কাজ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিন চেয়ারপার্সন টেলিফোনে বলেন, “সরকারি কাজে কলকাতায় আছি। ফিরে যা বলার বলব।” পুরসভা সূত্রের খবর, নিয়ম মত চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান সই করতে পারেন। পুর এক্সিকিউটিভ অফিসারকেও সেই ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। বালুরঘাট পুরসভায় ওই অফিসারও অনুপস্থিত। আর ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে এখনও কাউকে নির্বাচিত করা হয়নি। ২৪ অক্টোবর বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারপার্সন নির্বাচন করা হলেও ভাইস চেয়রম্যান এবং চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল এখনও দল ঠিক করে উঠতে পারেনি। এতে ১৫ দিন ধরে বালুরঘাট পুরসভায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাসিন্দারা জানান, শহরের নর্দমা ও রাস্তা সাফাই থেকে মশা মারার তেল ছড়ানোর মত পরিষেবার কাজ ভেঙে পড়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, বালুরঘাটের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর মনোনীত প্রার্থী চয়নিকা লাহা চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পর ভাইস চেয়ারম্যান পদ নিয়েও দলে কোন্দল শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। ৪৪ বছর পর আরএসপির কাছ থেকে বালুরঘাট পুরসভার ক্ষমতা তৃণমূল দখল করেও এখনও গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই পুরবোর্ড গঠন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ। এবিষয়ে মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “খুব শীঘ্রই ভাইস চেয়ারম্যান-সহ বোর্ড গঠন হবে।” |