উত্তর মালদহের সাংসদ কোটার সাড়ে সাত কোটি টাকা জেলা প্রশাসন এখনও খরচ করতে পারেনি বলে অভিযোগ করলেন খোদ কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। তাঁর সাংসদ কোটার টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে শুক্রবার জেলাশাসক, সদর মহকুমা শাসক ও বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ঘটনায় জেরে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ। তিনি এদিন লোকসভা ভোটের আগে সাংসদ কোটার সমম্ত টাকা খরচ করার জন্য জেলাশাসককে বলেন।
সাংসদ বলেন, “পানীয় জল থেকে শুরু করে একাধিক রাস্তা, কালভার্ট, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংস্কার-সহ একাধিক প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন অত্যন্ত ঢিমেতালে সাংসদ কোটার টাকার কাজ করছে। প্রশাসন যেভাবে কাজ করছে তাতে দুই বছরেও ওই সব কাজ শেষ হবে না।” তিনি জানান, সাংসদ এলাকায় উন্নয়নের টাকা সাংসদের নামে আসলেও তিনি ওই টাকা খরচ করতে পারেন না। |
সাংসদের প্রকল্প |
• পানীয় জল- ৫৬ লক্ষ টাকা
(হবিবপুর, বামনগোলা,গাজল)।
• কালভার্ট- ৫১ লক্ষ টাকা
(রতুয়া, দেবীপুর, কাহালা)।
• গার্ডওয়াল-১৩ লক্ষ টাকা (হবিবপুর)।
• শ্মশানের চুল্লি-২৭ লক্ষ টাকা
(গাজল, পুরাতন মালদহ, হবিবপুর)।
• কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর-৮ লক্ষ
টাকা
(গাজল, পান্ডুয়া)।
• রাস্তা-৯৪ লক্ষ টাকা (প্রথম দফায়)।
• মাদ্রাসায় কমিউনিটি হল-১৮ লক্ষ টাকা
(রতুয়া ,চাঁচল ,হরিশ্চন্দ্রপুর) |
• কমিউনিটি হল ও হোস্টেল-২৩
লক্ষ টাকা (হবিবপুর)। • পানীয় জল-১ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা (গাজল,বামনগোলা) • রাস্তা-৮৫ লক্ষ টাকা
(দ্বিতীয় দফায়) • পানীয় জল-৬৩ লক্ষ টাকা
(হবিবপুর, গাজল, রতুয়া-২)। • কালভার্ট ও দেওয়াল-১৪ লক্ষ টাকা। • কমিউনিটি হল-টয়লেট-১১
লক্ষ টাকা(হবিবপুর) • রাস্তা-১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা।
(তৃতীয় দফা)। |
|
জেলাশাসকের মাধ্যমে টাকা উন্নয়নের জন্য খরচ হয়। বহুদিন আগে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রকল্পগুলি তালিকা করে জমা দিয়েছি। ২০১১-১২ সালে ১৩৯টি প্রকল্পের কাজ জেলাশাসকে জমা দিয়েছিলাম। তার মধ্যে মাত্র ৫৪টি অনুমোদন করে ৫২টি-র কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি টাকার একটি কাজ শেষ করতে পারেনি প্রশাসন। সাংসদের অভিযোগ, ২০১১-১২ থেকে ২০১২-১৩ সালেই নয়, ২০০৯-২০১০ থেকে ২০১২-১৩ পর্যন্ত ৩৪১টি প্রকল্পের মধ্যে এখন ১৫১ টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে। ৯৮টি প্রকল্পের কাজ চলছে। ৯২টি প্রকল্পের কাজ শুরুই করেনি প্রশাসন। আমার মনে হচ্ছে, জেলা প্রশাসন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার সাংসদ কোটার কাজ ঢিমেতালে করছে। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “সাংসদ কোটার টাকা দেরিতে আসার জন্য কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। সাংসদের সুপারিশ করা কিছু সংস্থা, বিডিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। কাজে বহু মানুষ যুক্ত থাকার কারণে কাজ করতে দেরি হয়।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এক মাস পর জেলাশাসককের কাছে সব কাজে অগ্রগতির সবিস্তারে রিপোর্ট চেয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। |