সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে শুক্রবার সকাল সকাল ব্যাগ গুছিয়ে স্ত্রীর অপেক্ষায় নিজের বেডেই বসেছিলেন শেখ রেজাউল। হঠাৎই বিপত্তি। মানসিক ভারসাম্যহীন এক রোগী তাঁর উপরে চড়াও হন ক্ষুর হাতে। জখম রেজাউল-সহ আরও কয়েক জন। রেজাউলের ঠিকানা, আপাতত সেই আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন আরামাগের হরিণখোলার বাসিন্দা রেজাউল। তাঁর উপরে চড়াও হন অলোক সরেন। বাধা দিতে গিয়ে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন অন্য এক রোগীর আত্মীয় হারাধন মণ্ডল এবং অলকের নিজের ভাই নিঃস্ব। হামলা চালানোর পরে অলোক হাসপাতাল থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও তাঁকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তা কর্মী ও স্থানীয় মানুষজন। ফের হাসপাতালেই আনা হয়। অন্য রোগীদের দাবিতে পরে হাসপাতাল সুপার নির্মাল্য রায় তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সুপার বলেন, “ওই রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।” তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বক্তব্য, আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, ওই রোগীকে কোথায় রাখা হবে। |
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাটের রঘুনাথপুর গ্রামের বছর পঁচিশের অলোককে হাতের শিরা ও আঙ্গুল কাটা অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়ির লোক ভর্তি করেন। ওই যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে বাড়ির লোকের দাবি। তাঁর ভাই নিঃস্ব জানান, দাদা বহু পরিশ্রম করে এবং কিছু টাকা ধারদেনা করে মাস কয়েক আগে ভাড়া খাটানোর জন্য একটি ছোট চার চাকা গাড়ি কিস্তির চুক্তিতে নিয়েছিলেন। সেই কিস্তি না দিতে পারায় সম্প্রতি সেই গাড়ি সংস্থাটি তুলে নেয়। তারপর থেকেই দাদা অত্যন্ত নেশা করতে থাকে। আত্মহত্যারও চেষ্টা করে। তাঁর দাবি, “দাদার মাথা যে এত বিকল হয়ে গিয়েছে, তা আমরা বুঝতে পারিনি।” |