তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার একটি আর্ট স্কুলের কর্ণধার সোমেশ ঘোষকে পুলিশি হেফাজতে নিতে ফের আবেদন জানাবে পুলিশ। শুক্রবার সোমেশবাবুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হলেও তা নাকচ হয়ে যায়। অভিযুক্ত সোমেশবাবু বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। এদিন শিলিগুড়ির অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পুলিশের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
সরকারি আইনজীবী সুদীপ বাসুনিয়া জানিয়েছেন, এর আগে পুলিশের তরফে জেলে গিয়ে অভিযুক্তকে জেরা করা হয়েছে। সেই জেরা করার পরে আরও বেশ কিছু তথ্য পায় পুলিশ। তার ভিত্তিতেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সুদীপবাবু বলেন, “জেলে পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত তদন্তে সহযোগিতার কথা জানিয়েছিলেন। পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আর বিশদে জেরা না করলে সঠিক ভাবে তদন্তের অগ্রগতি ব্যহত হবে। সে কারণেই শিলিগুড়ির অতিরিক্ত জেলা জজের আদালতের উচ্চ কক্ষে আবেদন করার কথা ভাবা হচ্ছে।”
গত ৩০ অগস্ট শহরের দেশবন্ধুপাড়ার বাপের বাড়ি থেকে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। ওই ঘর থেকে একটি ১৪ পাতার ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই নোটে হাকিমপাড়ার একটি আর্ট স্কুলের কর্ণধার সোমেশবাবুকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী বলে দাবি করা হয়। সঙ্গে সোমেশের স্ত্রী-বাবা সহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে তরুণীকে ভয় দেখানো-সহ একাধিক অভিযোগের উল্লেখ করা হয়েছিল। ঘটনার পরে ওই তরুণীর মা শিলিগুড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিক্তিতে তদন্ত শুরু করে সোমেশ ঘোষের বাবা এবং পরে ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই, মূল অভিযুক্ত সোমেশ ঘোষ ফেরার হয়ে যান। কলকাতা হাইকোর্টেও তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। গত ১ নভেম্বর সরাসরি শিলিগুড়ি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে অভিযুক্ত সোমেশ ঘোষকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। |