রেলের ঠিকাদারি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই খুন হয়েছেন আদ্রার বাসিন্দা সঞ্জীব সিংহ। তদন্তে নেমে ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে এমন তথ্যই মিলেছে বলে দাবি করল পুলিশ। গত ৩১ অক্টোবর রাতে আদ্রা বাজারে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ওই যুবক। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ প্রথমে আদ্রার বাসিন্দা সুরেশ বর্মা ওরফে পিন্টুকে গ্রেফতার করে। পরে আদ্রা থেকেই ধরা পড়ে বিহারের খগাড়িয়া জেলার বাসিন্দা রাজুকুমার চৌধুরী নামের এক যুবক। তাদের জেরা করে ঘটনা সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এন সুধীর কুমার বলেন, “আদ্রায় খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে ইতিমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে।”
বস্তুত রেল শহর আদ্রায় অধিকাংশ অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে বরাবরই রেলের ঠিকাদারি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয় উঠে এসেছে। এ বারও সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আদ্রার বেনিয়াসোলের স্টেট ব্যাঙ্ক পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব ওরফে বাবু রেলের ঠিকাদারি সংক্রান্ত কাজে জড়িত ছিলেন। যদিও নিহতের পরিবারের দাবি, তিনি রেলের ঠিকাদারি সংক্রান্ত কাজে যুক্ত ছিলেন না। নানা সময়ে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতেন। রাজ্য পুলিশের এক কর্তার দাবি, কিন্তু তদন্তের যা অগ্রগতি হয়েছে তাতে সঞ্জীবের খুনের ঘটনার সঙ্গে ঠিকাদারি সংক্রান্ত বিষয় ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে এসে জনা চারেক দুষ্কৃতী মাস চারেক আগে ডেরা বেঁধেছিল রঘুনাথপুর থানার কুলসড়া গ্রামে। সেখানে ঘর ভাড়া নিয়ে তারা ছিল। বাড়ির মালিকের কাছে তারা নিজেদের রঘুনাথপুরে ডিভিসি-র নির্মীয়মান বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। রাজু চৌধুরীকে গ্রেফতার করা পরেই পুলিশ কুলসড়া গ্রামে ওই বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু কাউকেই ধরা যায়নি। তবে উদ্ধার হয়েছে খুনের সময়ে আততায়ীদের পরে আসা হেলমেটটি। যে মোটরবাইকটি নিয়ে তারা খুন করতে গিয়েছিল, সেটি পুলিশ চিহ্নিত করেছে। পুলিশের দাবি, মূল আততায়ীর বিবরণ পাওয়া দিয়েছে। |