|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
তোমারি মাটির কন্যা
অপূর্ব গায়নে অপালা বসু, মাধবী দত্ত প্রমুখ |
শিখা বসু |
সম্প্রতি আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে উদীচী আয়োজিত ‘তোমারি মাটির কন্যা’ অনুষ্ঠানে পাঁচটি পর্বকে সঙ্গীতের মাধ্যমে উপস্থাপন করল পঞ্চকন্যা। প্রথমে ছিলেন রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়। ‘লক্ষ্মী যখন আসবে’ গানটি প্রশংসার দাবি রাখে। পরে প্রকৃতি পর্যায়ের পাঁচটি গান পরিবেশন করেন অপালা বসু। গানে নিজের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। অপূর্ব কণ্ঠশৈলী ও চর্চিত গলায় এ দিনের গানগুলি যেন অন্য মাত্রা পেয়ে যায়। শেষ শিল্পী মাধবী দত্তের নিবেদনে ছিল নৃত্যনাট্যের গান। প্রথমে ‘শ্যামা’, ‘চিত্রাঙ্গদা’ পরে ‘চণ্ডালিকা’। এই তিনটি নৃত্যনাট্যেই শান্তিনিকেতনের শিক্ষাপ্রাপ্ত শিল্পী মাধবী অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে শ্রোতাদের মনে থাকবে চণ্ডালিকার মা ও মেয়ের দু’টি চরিত্রে তাঁর অনবদ্য কণ্ঠ। পরবর্তী শিল্পী এষা মিত্রের নিবেদনে ছিল প্রেম পর্যায়ের গান। তাঁর পাওয়া ‘হেরি অহরহ’ এবং বাসবী দত্তর রাগাশ্রয়ী রবীন্দ্রনাথের গান ‘এ পরবাসে’ প্রশংসনীয়।
|
‘গীতিকা’র সুনাম
চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্তের পরিচালনায় |
সঞ্চারী বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
সম্প্রতি ‘গীতিকা’ আয়োজন করেছিল একটি সুন্দর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। মা দুর্গা কখনও মাতা, কখনও দেবী, প্রকৃতি, কখনও আবার জন্মভূমি। চন্দ্রাবলী রুদ্রদত্তের পরিচালনায় শুরুতেই ছিল প্রকৃতিদেবীর আরাধনা। সংস্থার শিশুশিল্পীরা ছাড়াও ছিলেন প্রদীপ দত্ত, দীপাবলী দত্ত, চন্দ্রাবলী রুদ্রদত্ত। সুছন্দা ঘোষের সুরেলা কণ্ঠে ‘হৃদয়ে ছিলে’ ও ‘আজি ধানের ক্ষেতে’ অন্য অনুভূতি বয়ে আনে। চণ্ডীমায়ের আরাধনায় দীপাবলী দত্ত খুবই প্রশংসনীয়। সঙ্গীতের নাটকীয় রূপ প্রদানে কৌশিক, অভিরূপ, দেবলীনার নৃত্য অনুষ্ঠানটিকে আরও মনোরম করে তুলেছিল। বন্দিশ ও আগমনী সুরের কোলাজে জ্যোতির্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় অনন্য। চন্দ্রাবলী রুদ্রদত্ত নজর কাড়লেন শুধু সঙ্গীতে নয়, বিষয়ের নিরিখে, মঞ্চসজ্জায় এবং সঙ্গীত নির্বাচনেও। গীতিকার সুনাম অক্ষুণ্ণই রইল।
|
অভিজ্ঞ নয়, তবুও আন্তরিক
আইসিসিআর-এ রবীন্দ্র-সন্ধ্যায় |
বারীন মজুমদার |
জীবন দেবতা থেকে প্রকৃতির গানের ও কবিতার চয়নে ‘সুরলোক’ যে অনুষ্ঠান করল তার শিল্পী নির্বাচনে খুব বেশি সুখ্যাত কেউ ছিলেন না। নতুন প্রজন্মের অনেকেই সুর-তাল-লয়ের ঊধ্বের্র্ কিছু ধরতে পারছেন না। এ দিনের শিল্পীরাও তার ব্যতিক্রম হতে পারলেন না। যে কারণে একটা কথা স্বীকার করতেই হচ্ছে যে শ্রবণ কিন্তু মগ্ন হয়নি। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন রচনার সংকলনের যে প্রতিফলন দেখা গেল এ দিনের অনুষ্ঠানে তারও ভাবনা চিন্তায় কোনও পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল না বলেই হয়তো সামগ্রিকতার নিরিখে কিছুটা অপূর্ণতা থেকে গেল। কারও তো কণ্ঠের আওয়াজ গম্ভীর, সুরানুভূতি কম। তবুও অপালা বসু আন্তরিকতার সঙ্গে গাইলেন ‘আমি বহু বাসনায়’, ‘যদি তোমার দেখা’। দীপঙ্কর পালের ‘গায়ে আমার পুলক লাগে’ ও ‘আমার খেলা’ দু’টি গান। ঊষসী সেনগুপ্তর পাঠে আবেগ বেশি। কাজল সুরের কণ্ঠের ওঠানামা আছে, তাই কবিতার মর্মার্থ অনুযায়ী ভাবপ্রকাশে ঘাটতি হয়নি। শেষে অঙ্কিতা কুলাভি নৃত্য প্রদর্শন করেন। |
|
|
|
|
|