|
|
|
|
পুরভোটে ঝাড়গ্রাম |
|
প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে দেখা করে
ভোট চাওয়ার পরামর্শ দীপকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক বাম প্রার্থীকে তাঁদের নিজের এলাকার প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করে ভোট চাইতে বললেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক দীপক সরকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্র মোহন হলে ঝাড়গ্রাম পুর নির্বাচন সংক্রান্ত বামফ্রন্টের এক কর্মিসভায় মূল বক্তা ছিলেন দীপকবাবু ও সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা। কর্মিসভায় দীপকবাবু বলেন, “আমাদের ধৈর্য হারালে চলবে না। বামফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা মানুষের কাছে যান। একেবারে উদ্ধত আচরণ করবেন না। বিশেষত, বামফ্রন্টের প্রার্থীরা এলাকার প্রতিটি ভোটারের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে পরিচিত হোন। গত ৩১ বছরে সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে ‘ডি-ক্যাটাগরি’র ঝাড়গ্রাম পুরসভা কী কী উন্নয়ন-কাজ করেছে তা মানুষের কাছে গিয়ে তুলে ধরুন।” আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থীদের তাঁদের এলাকার প্রত্যেক ভোটারের সঙ্গে দেখা করে প্রচার করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন দীপকবাবু। শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে বুথ ভিত্তিক ও পাড়া ভিত্তিক ছোট ছোট প্রচার-বৈঠক ও সভা করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বস্তুত পক্ষে, টানা তিন দশকের বেশি অরণ্যশহরের পুরবোর্ডের ক্ষমতায় থাকা বামেরা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। পুর পরিষেবা নিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে সীমাহীন ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ১৯৮২ সাল থেকে ক্ষমতায় থেকেও বামেরা পানীয় জল, নিকাশি ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নে সেভাবে কোনও কাজ করে নি বলে অভিযোগ করছেন সিংহভাগ পুরবাসী। এই পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েছেন বাম নেতা-কর্মীরা। পুরভোটের আগে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এদিন দীপকবাবুর এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ঝাড়গ্রাম শহরের সিপিএম ও সিপিআই নেতৃত্ব। এদিন কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে দীপকবাবু বলেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সব ক্ষেত্রেই বলপ্রয়োগ করছে। পঞ্চায়েতের মতো পুরভোটেও ওরা গায়ের জোর খাটানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কোনও রকম ভাবে প্ররোচিত হবেন না, ওদের প্ররোচনার ফাঁদে পা দেবেন না।” এ দিন সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে ঝাড়গ্রাম শহরে তৃণমূলের একাধিক প্রচার-ফ্লেক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় স্তরে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
এ দিন বামফ্রন্টের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন দীপকবাবু। ঝাড়গ্রাম পুর এলাকায় পানীয় জল, নিকাশি, রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও সমস্যার স্থায়ী সমাধানে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|