|
|
|
|
দাসপুর ২ ব্লক |
বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় দলবাজি, ঘেরাও সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা তৈরিতে দলবাজির অভিযোগ তুলে ব্লক অফিস ঘেরাও করল সিপিএম। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিপিএমের নেতৃত্বে কয়েক হাজার চাষি দাসপুর ২ ব্লক অফিস ঘেরাও করেন। তাঁদের দাবি, কৃষি দফতর থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য ব্লকগুলিতে পাঠানো ফর্ম সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতের ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা পাচ্ছেন না। এমনকী তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের সিপিএম সমর্থক চাষিরাও ওই ফর্ম পাননি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই ফর্ম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট দফতরে না পাঠালে ক্ষতিগ্রস্থরা কোনও ক্ষতিপূরণই পাবেন না। তাই এ দিন বিক্ষোভকারীরা ব্লক অফিস ঘেরাও করে তৃণমূল পরিচালিত দাসপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিডিওকে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। ওই সময় বিডিও অফিসে না থাকায় তাঁর প্রতিনিধির হাতে চাষিরা স্মারকলিপি তুলে দেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অতিবৃষ্টি ও জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়েই ধান-সহ সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনও অনেক জমি থেকে জল না নামায় আলু থেকে শীতকালিন সব্জি চাষ শুরু করতে পারেননি বহু চাষি। এছাড়াও অনেক ধান জমিতে জল জমে থাকায় ধানে পোকার উপদ্রবও বেড়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি দফতর ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের চাষের কাজে সাহায্যের জন্য বীজ এবং সার দেওয়া হবে। এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে প্রয়োজন অনুসারে চাষিরা বীজ ও সার পাবেন। এখন
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
সিপিএমের অভিযোগ, দাসপুর-২ ব্লকে এখনও পর্যন্ত কোনও সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতেই ওই ফর্ম পাঠানো হয়নি। এছাড়াও কোন চাষি ক্ষতিপূরণ পাবেন সেগুলি সংশ্লিষ্ট শাসক দলের অফিস থেকেই ঠিক করা হচ্ছে। বিডিও অরুপ মণ্ডল বলেন, “ব্লক কৃষি দফতর থেকে ওই ফর্ম বিলি করা হচ্ছে। সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিই যাতে ক্ষতিপূরণ পান সেজন্য ব্যবস্থা করব। এখনও ফর্ম বিলি করা হচ্ছে।” যদিও সিপিএমের দাসপুর-২ জোনাল কমিটির সম্পাদক ললিত কুমার শীর অভিযোগ, “ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে ব্যাপক দলবাজি চলছে। সরকারি কোনও দফতর থেকে ক্ষতিপূরণের ফর্ম বিলি করা হচ্ছে না। সমস্ত ফর্ম তৃণমূলের দলীয় কাযার্লয়ে রয়েছে। সেখানেই ফর্ম পূরণ করে তালিকা তৈরি হচ্ছে।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “দ্রুত এই কাজ বন্ধ না হলে আগামী সপ্তাহেই সমস্ত চাষিকে নিয়ে লাগাতার বিডিও অফিসে ধর্নায় বসা হবে। সমস্ত ফর্ম বাতিল করে স্বচ্ছ ভাবে তালিকা তৈরি না করা পর্যন্ত লাগাতার এই আন্দোলন চলবে।” যদিও তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ করছে। সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরাই সরকারি সাহায্য পাবেন। সিপিএম রাজনীতির কারণেই এই সব বলছে।” |
|
|
|
|
|