টোলগে ওজবের ফুটবল-ভবিষ্যৎ বাঁচাতে আসরে নেমে পড়লেন তাঁর বাবা।
অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকারের ব্যর্থতায় যখন চরম অসন্তোষ মহমেডানে, তখন খোদ টোলগের বাবা অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোনে এক সাদা-কালো কর্তাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, “আমার ছেলেকে কেন খেলানো হচ্ছে না? যে অর্থে চুক্তি করা হয়েছে, সেই টাকাও ঠিক মতো পাচ্ছে না কেন?” ছেলেকে বাঁচাতে ‘সাত সমুদ্র তেরো নদী’ পার করে বাবার হুমকি-র ফোন কলকাতা ফুটবলে একটা নজিরবিহীন ঘটনা!
টোলগে শুধু নয়, তাঁর বাবার এই আচরণে বেজায় চটেছেন মহমেডান কর্তারা। এবং সেটা এতটাই তীব্র যে, ঠিকঠাক পারফরম্যান্স দিতে না পারলে টোলগেকে ‘দ্বিতীয় উইন্ডো’-তে ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন কর্তারা। শুক্রবার মাঠ-সচিব কামারুদ্দিন বললেন, “টোলগের বাবার ফোন এসেছিল। আমরাও ওঁকে জানিয়ে দিয়েছি যে, আমাদের ক্লাবে পারফরম্যান্সই শেষ কথা। টোলগের খেলায় আমরা মোটেও খুশি নই। কেন খেলানো হচ্ছে না তা নিয়ে কোচের কাছেও প্রশ্ন করছে। এত টাকা দিচ্ছি খেলতে তো হবে। না পারলে দ্বিতীয় উইন্ডো-তে টোলগের বিকল্প খুঁজতে হবে।” ক্লাব সূত্রের খবর, দু’এক জন বিদেশি ফুটবলারের সঙ্গে কথাবার্তাও চালাতে শুরু করে দিয়েছেন কর্তারা।
শুধু পারফরম্যান্সই নয়, টোলগের আচরণে ক্ষুব্ধ কোচ থেকে ফুটবলার সবাই। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি ঠিক ভাবে প্র্যাক্টিস করেন না। ফিটনেস নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠলেও, কোনও হেলদোল নেই। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সাদা-কালো ফুটবলার বললেন, “টোলগে নিজেকে সুপারস্টার ভেবে ফেলেছে। খুশি হলে অনুশীলন করে, না হলে নয়। কোচের তো অসুবিধা হচ্ছেই। আমাদেরও রেহাই নেই। যে ক’টা ম্যাচ হেরেছি, শুধু ওর জন্যই হেরেছি। গোল করার জন্য একজন স্ট্রাইকারের যে একাগ্রতা লাগে, সেটা ওর মধ্যে নেই। ওকে বল সাপ্লাই করা এখন বন্ধ করে দিয়েছি।”
টোলগের বাবার অভিযোগ, ছেলে নাকি টাকা পাচ্ছে না। মহমেডানের মাঠ-সচিবের পাল্টা দাবি, “টোলগের সঙ্গে দশ মাসের চুক্তি আমাদের। সেই মতো প্রত্যেক মাসে নিয়মিত টাকা পাচ্ছে। কিন্তু পারফরম্যান্সই নেই।” ইস্টবেঙ্গলে প্রথম বছরের পারফরম্যান্স ভাঙিয়ে আর কত দিন খেলবেন টোলগে? মোহনবাগানে চূড়ান্ত ব্যর্থ। যত দিন যাচ্ছে মহমেডানেও অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকারের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। |