আই লিগের ডার্বি জেতাটাই যে তাঁর ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসাবে টিঁকে থাকার লাইফ লাইন কার্যত জানিয়ে দেওয়া হল মার্কোস ফালোপাকে।
ব্রাজিলিয়ান কোচের সঙ্গে শুক্রবার রাতে আলোচনায় বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য। সল্টলেকের একটি রেস্তোরাঁয়। সেখানে ফালোপার কাছে তিনি জানতে চান, “দল এত খারাপ খেলছে কেন? ডার্বি কিন্তু জিততেই হবে। যেভাবেই হোক।” ফালোপা জানিয়ে দেন, তিনি ওই ম্যাচের গুরুত্ব জানেন।
আলোচনায় বসার দশ ঘণ্টা আগে অবশ্য ফালোপা তাঁর বর্তমান মরসুমে সাফল্যের কথা জোর গলায় তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে। নাম না করে টেনে আনেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের জমানাকেও। “আমি এশিয়াতে ইস্টবেঙ্গলকে তিন নম্বর করেছি। আগের কোচও প্রথম বছর ব্যর্থ হওয়ার পর সাফল্য পেয়েছিলেন। আমাকেও সময় দিতে হবে। আমি তো আর সুপারম্যান নই যে এক দিনে সব বদলে দেব।”
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সূত্রের খবর, ফালোপা নাকি ফুটবল সচিবের সঙ্গে কথা বলার সময় বারবার আশ্বাস দিয়েছেন, দল ঘুরে দাঁড়াবেই। “আই লিগে পাঁচটা তো মাত্র ম্যাচ হয়েছে। এত ঘাবড়াচ্ছেন কেন,” বলার পাশাপাশি আই লিগে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য তিনি নানা যুক্তিও দেন। “মোগা-চিডি ম্যাচ ফিট নয়, সুয়োকাকেও পাচ্ছি না তাই অসুবিধা হচ্ছে। তবে এখন সুয়োকা সুস্থ হয়ে গিয়েছে, ওকে বড় ম্যাচে খেলাব।”
সিনিয়র ফুটবলার-সহ বেশ কিছু ফুটবলার ক্লাব কর্তাদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, কোচ কী করতে চান তা বুঝতে পারছেন না। নিজের পজিশন নিয়েও তাঁরা ধন্দে। সেই প্রসঙ্গও ওঠে আলোচনায়। ফালোপা সাফাই দেন, “ক্লাসে কেউ কিছু বলে না। আপনি যখন বলছেন, ভবিষ্যতে আমি আরও সতর্ক হব। আরও সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব।” জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক জন ফুটবলার খেলার ব্যাপারে মনোযোগী নন, সেটাও নাকি ফুটবল সচিবকে জানিয়েছেন ফালোপা। আলোচনা থেকে বেরিয়ে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব বললেন, “কোচ যা বললেন শুনেছি। ওর উপর এখনও আস্থা রাখছি।”
গোয়া থেকে ফিরে এ দিন থেকেই কলকাতা লিগের পাশাপাশি ডার্বির প্রস্তুতিও শুরু করে দিলেন চিডি-মোগারা। সুয়োকা অবশ্য মাঠের পাশে দৌড়োদোড়ি করেছেন। বল পায়ে নেননি। ডার্বিতে খেলতে পারবেন? জানতে চাওয়া হলে বলে দেন, “জোরে বল মারতে গেলে পায়ে লাগছে। কিন্তু আমার ধারণা ম্যাচ খেললে এই ব্যথাটা অনুভব করব না। আমি কলকাতা লিগের ম্যাচে খেলে তাই নিজেকে ফিট করে তুলতে চাই।” |