শুক্রবার সন্ধ্যায় চেতলার পিয়ারীমোহন রোডের মাটালি বাগান এলাকায় হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার রাতে এই এলাকারই চার জন কালী প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা যান। জখম হন ৩৭ জন। মাটালি বাগান এলাকার গলিগুলো এত সঙ্কীর্ণ যে দুই জন পাশাপাশি হাঁটা যায় না। ওই গলি দিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একাই প্রথমে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এর পরে দুর্ঘটনায় জখম একটি বালককে দেখতে ঘরে ঢুকে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। বুধবারের দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ২৬ বছরের যুবক দেবনাথ পারুই। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মা, বিধবা স্ত্রী এবং পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রায় আধঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রী সেখানে ছিলেন। তিনি নিহত ও আহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন ও সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
পুরনো খবর: বিসর্জনের উন্মত্ত লরিতে দুর্ঘটনায় মৃত ৪,জখম বহু শিশু ও মহিলা |
রবীন্দ্র সরণি ও গোপাল নিয়োগী লেনের মোড়ে রবিবার রাতে শব্দবাজি ফাটানো আটকাতে গিয়ে প্রহৃত হন শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। তার রেশ কাটার আগেই এ বার বৃহস্পতিবার রাতে ওই একই জায়গার কয়েক মিটারের মধ্যে গাড়ির তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বাণিজ্যিক কর বিভাগের কর্মীরা। এক পরিবহণ সংস্থা-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বাণিজ্যিক কর বিভাগ। পুলিশ জানায়, ওই রাতে শ্যামপুকুর থানার রবীন্দ্র সরণির মায়ের ঘাটের কাছে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করছিলেন বাণিজ্যিক কর বিভাগের কর্মীরা। একটি পরিবহণ সংস্থার লরিকে থামিয়ে তল্লাশির সময়ে লরির খালাসি ও চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই কর্মীদের। অভিযোগ, চালক ও খালাসি জোর করে সেখান থেকে চলে যান এবং পরে ওই পরিবহণ সংস্থার আরও কয়েক জন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন। বাণিজ্যিক কর বিভাগের এক অফিসার ওই রাতেই পুলিশে অভিযোগ করেন, পরিবহণ সংস্থার ওই কর্মীরা তাঁদের প্রথমে গালিগালাজ করেন ও পরে তাঁদেরকে ধাক্কা মেরে কাজে বাধা দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার করা যায়নি।
|
লকার ভেঙে টাকা চুরি হল মহাত্মা গাঁধী রোডের একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে। বৃহস্পতিবার ওই সংস্থার মালিক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে অফিস বন্ধ করে তিনি চলে যান। বৃস্পতিবার সকালে দরজা খুলে অফিসের ভিতরে ঢুকে দেখেন, লকার ভাঙা। উধাও লকারে থাকা কয়েক লক্ষ টাকা। পুলিশের অনুমান, অফিসের কোনও কর্মী ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। |