আট বছর পার হল। দু’জন ঠিকাদার বাতিল হল। কিন্তু শেষ হল না টলিনালার ধারে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নিকাশি পাম্প বসানোর কাজ। ফলে এই প্রকল্পের জন্য আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক-এর (এডিবি) অর্থ পাওয়া যাবে না। কাজের দায়িত্বে ছিল কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্প (কেইআইপি)। বাকি কাজ শেষ করতে সেচ দফতরের দ্বারস্থ হয়েছে কেইআইপি।
রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সেচ দফতরের কাছে অর্থ চেয়ে অনুরোধ এসেছে। আমরা বাকি কাজ শেষ করার জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।” |
গত বাম বোর্ডের আমলে বামফ্রন্টের মুখ্য সচেতক অমল মিত্রের উদ্যোগে বৃষ্টির জল দ্রুত বার করার জন্য টলিনালার ধারেই সাতটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই কাজ শেষ হলে ১১৪ এবং ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড-সহ দক্ষিণ শহরতলির বিস্তীর্ণ অংশ জল জমা থেকে রেহাই পেতে পারে। এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ১৮ কোটি টাকা। ঠিক হয় কাজটি কেইআইপি করবে এবং অর্থ দেবে এডিবি।
কেইআইপি সূত্রে খবর, দরপত্র ডেকে একটি ঠিকাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের গতি আশাপ্রদ না হওয়ায় কেইআইপি এই ঠিকাদার সংস্থাকে বাতিল করে। দরপত্র ডেকে অন্য এক ঠিকাদার সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। শর্ত ছিল, এ বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। তারাও সময় মতো কাজ শেষ করতে পারেনি। এ বার তাদের দরপত্র বাতিল করে নতুন এক ঠিকাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান পুর বোর্ডে বামফ্রন্টের মুখ্য সচেতক অমলবাবুর অভিযোগ, “কেইআইপির গাফিলতিতেই এই প্রকল্পের কাজে দেরি হয়েছে। এই বিষয়টি সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে তুলেছি। কবে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তার ঠিক নেই।” স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের রত্না শূর বলেন, “কেইআইপি-র গড়িমসি তো আছেই। দেরি হওয়ার খরচও বেড়েছে। জল জমার সমস্যাও মিটছে না।”
কেইআইপির ডিরেক্টর জেনারেল সৌম্য গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ঠিকাদার সংস্থাগুলি ঠিকমতো কাজ না করায় এই সমস্যা। এই কাজের জন্য এডিবি-র অর্থ পাওয়া যাবে না। সেচ দফতরের কাছে বাকি অর্থের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।” |