শীঘ্রই শুরু হচ্ছে কামডহরি রোড এবং বোড়াল মেন রোডের মোড় থেকে বোড়ালের দিকে যাওয়ার রাস্তার প্রায় দু’কিলোমিটার অংশের মেরামতির কাজ। কাজ করবে রাজ্য পূর্ত দফতর। অভিযোগ, কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য পূর্ত দফতরের চাপান-উতোরে দীর্ঘ দিন এই কাজ আটকে ছিল। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল।
কামডহরি রোড এবং বোড়াল মেন রোডের মোড় থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। কোথাও গর্ত হয়ে গিয়েছে। কোথাও পিচ উঠে রাস্তা এবড়ো-খেবড়ো হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বার বার বলা সত্ত্বেও রাস্তার এই অংশের কোনও মেরামতি হয়নি। তবে সমস্যা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তা মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দফতর। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।
বোড়াল মেন রোডের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। কামডহরি রোডও পূর্ত দফতর দেখভাল করে। এই দুই রাস্তার মোড় থেকে বোড়ালের দিকে বোড়াল মেন রোডের দু’কিলোমিটার অংশে মূল রাস্তার পাশাপাশি রাস্তার পাশের অংশগুলিও খারাপ হয়ে গিয়েছে। মূল রাস্তা মেরামত করতে গেলে পাশের অংশগুলিরও মেরামত করা দরকার। এ নিয়েই শুরু হয় চাপান-উতোর। পূর্ত দফতরের দাবি, রাস্তার পাশের অংশগুলি পুরসভার মধ্যে পড়ে। এগুলি পুরসভাকেই সারাতে হবে। পুরসভার অবশ্য দাবি, মূল রাস্তার মেরামতি না করলে পাশের অংশগুলি মেরামত করা যাবে না। তাই পুরো কাজ পূর্ত দফতরকেই করতে হবে। এই চাপান-উতোরে কাজ আটকে ছিল। এর পরে এই অংশের সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্ত দফতর। |
পুর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, যে অংশের মেরামতির প্রয়োজন তার পাশের অংশ পুরসভার মধ্যেই পড়ছে। আইনত কাজটি পুরসভারই করার কথা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধার কথা ভেবে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তার এই অংশ পূর্ত দফতরই সারাবে।
এই রাস্তার ভারপ্রাপ্ত সহকারি বাস্তুকার চন্দন সামন্ত বলেন, “পুজোর আগে পূর্ত দফতরই এই রাস্তার অনেক জায়গায় জোড়াতালি দিয়েছে। ওই অংশ সারাইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়েছে। বৃষ্টিও শেষ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এই কাজ শুরু হবে।”
স্থানীয় কাউন্সিলর সিপিএমের চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “শুধু এই অংশই নয়, এই অঞ্চলে পূর্ত দফতরের অনেক রাস্তারই অবস্থা খারাপ। পুরসভার কিছু রাস্তাও খারাপ। কারণ, রাস্তাগুলির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। পুরকর্তৃপক্ষ এবং পূর্ত দফতরকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি।”
পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্ত কুমার ঘোষ বলেন, “বিতর্কিত অংশ ছাড়াও ব্রহ্মপুর এবং কামডহরিতে পুরসভার রাস্তাগুলির সমীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে পূর্ত দফতরের সঙ্গেও কথা বলব। বৃষ্টির জন্যও কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। কিছু দিনের মধ্যেই অন্য রাস্তাগুলিরও কাজ শুরু হবে।” |