ডিওয়াইএফ থেকে সদ্য তৃণমূল যোগ দেওয়া এক যুবককে মারধর করার অভিযোগে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অম্লান ভাদুড়ির বিরুদ্ধে পুলিশ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইংরেজবাজার ফুলবাড়ি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়। সংঘর্ষে জখম তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী আসীম চৌধুরী, অরুণাভ সিংহ ও জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অম্লানবাবুকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “জখম এক যুবকের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অম্লান ভাদুড়ি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।” ঘটনায় ক্ষুব্ধ দলের বিধায়ক তথা পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী। তিনি বলেন, “এই ভাবে দাদাগিরি করলে জেলায় কখনওই দলকে বাড়ানো যাবে না। যাঁদের মারধর করা হয়েছে তাঁরা দুই মাস আগে তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন। ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই।” এই প্রসঙ্গে দলের জেলার সভানেত্রী তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “খোঁজ না নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।” আর অভিযুক্ত অম্লানবাবুর দাবি, “ওঁরা ডিওয়াইএফ করে। ওঁরা আমাকে মারধর করছে। আমি কাউকে মারিনি।”
দলীয় সূত্রের খবর, সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দেওয়া অসীম চৌধুরী ও অরুণাভ সিংহ পর্যটন মন্ত্রীর থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাড়ি এলাকায় বিলি করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অম্লানবাবুর নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক দুই জনকে মারধর করেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। লোহার রড, লাঠি মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জখম অসীম চৌধুরীর স্ত্রী মঞ্জুরী দেবী বলেন, “অম্লান ভাদুড়ি দলবল নিয়ে আমার স্বামীর উপর হামলা করেছে। উনি নিজের মর্জিমতন কাজ করতে চান।” |