ক্যানসার সচেতনতায় পড়ুয়ারাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ক্যানসারের উপসর্গ কী কী, ওজন বাড়লে ক্যানসার হওয়ার ভয় কতটা বাড়ে, কোন বয়সের পরে ম্যামোগ্রাফি করানো দরকার এমন নানা প্রশ্ন ও তার উত্তর এ বার পড়ুয়াদের হাতেহাতে বিলি করতে চান চিকিৎসকেরা। কারণ তাঁরা মনে করছেন, তরুণ প্রজন্ম সচেতন হলেই ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। এরই প্রথম ধাপ হিসেবে শিক্ষাবিষয়ক একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে একজোট হয়ে ক্যানসার সচেতনতায় সামিল হল ক্যানসার চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার, জাতীয় ক্যানসার সচেতনতা দিবস থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হল।
চিকিৎসকদের ওই সংগঠনের তরফে গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “২০২০ সালের মধ্যে প্রতি পরিবারে অন্তত একজন করে ক্যানসার রোগীর হদিস মিলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তার পরেও এ রাজ্যে সচেতনতার হার তলানিতে। শুধু সরকারের পক্ষে এই গুরুদায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, কর্পোরেট সংস্থাগুলিকেও একজোট হতে হবে।”
গৌতমবাবু জানান, গোটা রাজ্যে ওই শিক্ষামূলক সংস্থার ৭৩টি শাখা রয়েছে। তিনি বলেন, “এর ফলে সহজেই কয়েক হাজার পড়ুয়ার কাছাকাছি পৌঁছতে পারব। সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিলি ছাড়াও দফায় দফায় আলোচনাচক্রেরও আয়োজন করা হবে।”
বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন উৎসবের সঙ্গে সচেতনতা কর্মসূচিকে জুড়ে দিতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “এ দিনই স্বাস্থ্য ভবনে একটি বেসরকারি সংগঠনের সঙ্গে যৌথ ভাবে কয়েকটি পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের হাতে ‘ধূমপান বিরোধী পুজো পুরস্কার’ তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী বছরগুলিতে পুজোমণ্ডপে বা তার আশপাশে ধূমপানে রাশ টানা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।” সংগঠনের কার্যনির্বাহী অধিকর্তা সুতপা বিশ্বাস বলেন, “পরোক্ষ ধূমপানের সঙ্গে ক্যানসারের যোগাযোগটা প্রমাণিত। তামাকবিরোধী প্রচারে আমরা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ চালাচ্ছি।” |