শহরের স্টেশন ফিডার রোডের এক প্রোমোটারের সোনার হার এবং নগদ টাকা ছিনতাই ঘটনা নিয়ে রহস্য ক্রমশ দানা বাঁধছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে নানা পরস্পরবিরোধী তথ্য মিলছে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের মধ্যেও পুরানো পরিচয়, নিয়মিত যোগাযোগ থাকার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ খোঁজখবর করছে। ৫ নভেম্বর ঘটনার আগে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত শুধু নন, আরও ২ জন একসঙ্গে ছিলেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ পৌঁছেছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় একজন তৃণমূল কর্মীর ভূমিকা নিয়েও পুলিশ ধন্দে পড়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেছেন, “তদন্তে নানা তথ্য মিলছে। সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন থানার অদূরে একটি এলাকায় জুয়ার আসর বসেছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দাদের একাংশের মারফৎ পুলিশ জানতে পেরেছে, ভাইফোঁটার রাতে স্টেশন ফিডার রোডের সেই জুয়ার আসরে গোলমালও হয়েছে। সেই গোলমালের সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত তাও পুলিশ দেখছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, স্টেশন ফিডার রোডের জলপাইমোড় থেকে থানা মোড় অবধি কয়েকটি বেআইনি ঠেক রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ওই ঠেকগুলিতে মদ, জুয়া এবং ওয়ান ডিজিট লটারির খেলা হয়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে। ওই ঠেকগুলিতে কারা আসা যাওয়া করেন তা দেখা শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ভাইফোঁটার রাতে থানার অদূরে তাঁকে মারধর করে গলার হার ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে একজন প্রমোটোর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। গণেশ চন্দ্র দাস নামের ওই প্রোমোটার বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। |