সরকার নির্ধারিত ১৩ টাকা কেজি দরে সাদা জ্যোতি আলু বিক্রি শুরু হতেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন খুচরো বাজারে লাল আলুর দাম আকাশ ছুঁয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী যেমন খুশি দাম হাঁকছেন বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। কৃষি বিপণন দফতরের কর্তারাও অভিযোগ উড়িয়ে দেননি। তাঁরা জানান, আজ, শুক্রবার আলু ব্যবসায়ী সমিতি ও হিমঘর মালিকদের নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কর্তারা বৈঠক করবেন। তার পরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দফতরের জলপাইগুড়ি জেলা আধিকারিক সুব্রত দে বলেন, “বাজারে আলুর সঙ্কট নেই। কড়া নজরদারিও চলছে। লাল আলু দাম বেশি নেওয়া হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উত্তরবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক জগদীশ সরকার জানান, উত্তরবঙ্গে এখন ২০ লক্ষ প্যাকেট আলু মজুত রয়েছে। তার মধ্যে ১০ লক্ষ প্যাকেট বীজ হিসেবে চাষিরা রেখেছেন। প্রতিটি প্যাকেটে ৫০ কেজি আলু আছে। তাঁর কথায়, “ওই পরিমাণ আলুই শেষ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।”
গত মঙ্গলবার থেকে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে স্টল খুলে ১৩ টাকা কেজি দামে সাদা জ্যোতি আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। ওই দিন থেকে খুচরো বিক্রেতারা সাদা আলু বিক্রি বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। উল্টে লাল আলুর দাম বাড়াতে শুরু করেন বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। এক লাফে ওই আলুর দাম ২০ টাকা থেকে ২২ টাকা কেজি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির মত কিছু বাজারে ২৪ টাকা কেজি দরেও লালা আলু বিক্রি হয়। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনের তরফে সাদা জ্যোতি আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। কারণ, বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ ওই আলু ব্যবহার করেন। এই সুযোগে লাল আলুর ফাটকাবাজির অভিযোগ উঠেছে। |